Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫,

তীব্র গরমে ঝিনাইদহে শিক্ষার্থীরা কাহিল, শিফট চালুর দাবি

কে. এম. সালেহ, ঝিনাইদহ

কে. এম. সালেহ, ঝিনাইদহ

মে ১৫, ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম


তীব্র গরমে ঝিনাইদহে শিক্ষার্থীরা কাহিল, শিফট চালুর দাবি

ঝিনাইদহে তীব্র গরমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। শ্রেণিকক্ষে ফ্যানের অভাব ও ডে-শিফটে তীব্র গরমের মধ্যে পাঠদান কার্যক্রম যেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য এক বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষে নেই পর্যাপ্ত ফ্যান। কোথাও একটি-দু’টি ফ্যান থাকলেও তা সচল নয়, আবার কোথাও চলছে ধীরগতিতে। ফলে শ্রেণিকক্ষে বসেই গরমে নাজেহাল হচ্ছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছে মাঝপথেই, যার ফলে কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি।

সদর উপজেলার মুরারীদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে যেখানে অন্তত ৪টি ফ্যান প্রয়োজন, সেখানে রয়েছে মাত্র ৩টি। এর মধ্যে একটি পুরোপুরি অচল, অন্যটি চলে মাঝে মাঝে। এই অবস্থায় শ্রেণিকক্ষে বসে পাঠদান কার্যক্রম যেন শিক্ষার্থীদের জন্য এক ধরনের অদৃশ্য শাস্তিতে পরিণত হয়েছে।

শহরের খান-এ-খোদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্রও একই রকম। সংকুচিত শ্রেণিকক্ষে বাতাস প্রবাহের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। একটি সচল ফ্যানও সেখানে যেন বিলাসিতার সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নাজমুল হোসেন নামের এক শিক্ষক বলেন, “ডে-শিফটে ক্লাস হওয়ায় দুপুরের পর তাপমাত্রা অসহনীয় হয়ে ওঠে। ছুটির পর শিক্ষার্থীদের তপ্ত রোদের মধ্যে বাড়ি ফিরতে গিয়ে চরম কষ্ট পোহাতে হয়। তাই প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত ফ্যানের ব্যবস্থা এবং ডে-শিফট বাতিল করে মর্নিং শিফট চালু করার দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা বলেন, “শিক্ষকদের বক্তব্য সঠিক। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়েছি এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার ছয়টি উপজেলায় মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৯০৭টি। এসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১,৬৭,৪০১ জন।

চলমান তাপপ্রবাহে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।

ইএইচ

Link copied!