লালমনিরহাট প্রতিনিধি
মে ২১, ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
মে ২১, ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
‘মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিজিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর প্রশিক্ষণ মাঠে বুধবার এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর সেক্টরের অধীন লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি), রংপুর ব্যাটালিয়ন (৫১ বিজিবি) ও তিস্তা ব্যাটালিয়ন (৬১ বিজিবি) কর্তৃক দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জনসমক্ষে ধ্বংস করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম জাহিদুর রহমান, এসজিপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সাব্বির আহমেদ।
এর পাশাপাশি লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সহকারী কমিশনার (জুডিশিয়াল), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের প্রতিনিধি, বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। এরপর লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি সমাজে মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরেন এবং এই মহামারি প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সক্রিয় সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম জাহিদুর রহমান বলেন, “মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি, যা যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান ও সচেতন নাগরিকদের একযোগে কাজ করতে হবে।” তিনি বিজিবির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। এর মধ্যে ছিল ফেন্সিডিল ২৮,৯২৮ বোতল, বিভিন্ন প্রকার মদ ১,০৫৬ বোতল, ইস্কাফ সিরাপ ১৩,৮০৮ বোতল, গাঁজা ৯৬৪.১১৩ কেজি, ইয়াবা ১২,০৯৪ পিস, হেরোইন ০.০৩৩ কেজি, টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ২১,৪১৮ পিস, কডিসেপ সিরাপ ৪ বোতল এবং বিয়ার ৮৭ ক্যান/বোতল।
বিজিবির এই উদ্যোগ সীমান্ত এলাকায় মাদক প্রবাহ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অংশগ্রহণকারী অতিথিরা উল্লেখ করেন।
ইএইচ