ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ভাঙ্গুড়ায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট, চাহিদা মাঝারি গরুর

মেহেদী হাসান, ভাঙ্গুড়া (পাবনা)

মেহেদী হাসান, ভাঙ্গুড়া (পাবনা)

মে ২৪, ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম

ভাঙ্গুড়ায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট, চাহিদা মাঝারি গরুর

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। 

উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ও একমাত্র শরৎনগর পশুর হাটে ইতোমধ্যেই বিপুল সংখ্যক গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া উঠেছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের কোরবানির মৌসুমে শুধু জেলার চাহিদা পূরণ নয়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের কোরবানির পশুর যোগানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই হাট।

উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় সাপ্তাহিক পশুর হাটগুলো এখন গবাদিপশু কেনাবেচার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে শরৎনগর হাটটি বসে প্রতি শনিবার। আজ সকাল থেকেই হাট প্রাঙ্গণ ছিল গরুতে কানায় কানায় পূর্ণ। দেশি গরুর আধিক্য এবং বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

গরুর দাম ৫০ হাজার থেকে শুরু করে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত হলেও, ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি মাঝারি আকারের গরুর দিকে। 

সকাল ৯টার আগেই হাটে ভিড় জমাতে থাকেন ক্রেতারা।

গরু কিনতে আসা মোহাম্মদ আলী বলেন, “ঈদের আগে গরুর দাম বেড়ে যায় বলে কিছুদিন আগেই এসেছি। আজ ৮০ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছি। দাম কিছুটা বেশি মনে হয়েছে। হাটে প্রচুর গরু রয়েছে, তবে দালালদের কারণে দাম বেশি।”

আরেক ক্রেতা নূর হোসেন জানান, “৭২ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছি। টাকার অভাবে আমরা তিনজন মিলে ভাগে গরুটি কিনেছি।”

খাসি কিনতে আসা কালাম হোসেন বলেন, “১২ হাজার টাকায় একটি খাসি কিনেছি। হাটে ছাগলের পরিমাণও যথেষ্ট।”

তবে অনেক ক্রেতাই অভিযোগ করছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি। 

খানমরিচ ইউনিয়নের বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম বলেন, “ঈদের এখনও কিছুদিন বাকি, আগেভাগেই এসেছি। কিন্তু দাম তুলনামূলক বেশি মনে হচ্ছে।”

ব্যবসায়ী আনিসুল হক জানান, “অনেক খুঁজে একটি ছোট গরু কিনেছি। আশা করছি ঈদের আগে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো।”

গরু ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, “বর্তমানে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। অর্থনৈতিক কারণে বড় গরুর চাহিদা কমে গেছে।”

খামারিরা বলছেন, গো-খাদ্য ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় গরুর দাম তুলনামূলক কমেই রাখা হয়েছে। তাদের দাবি, গত বছরের তুলনায় এবারের উৎপাদন ব্যয় অনেক বেশি।

পাশাপাশি হাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রয়েছে জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি, এবং নির্বিঘ্ন যাতায়াতের ব্যবস্থা।

সব মিলিয়ে ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ভাঙ্গুড়ার পশুর হাটে বড় গরুর তুলনায় মাঝারি গরু ক্রয়-বিক্রয়ের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে—এটাই এবারের কোরবানির বাজারের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

ইএইচ

Link copied!