Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫,

শরীয়তপুরে বৃষ্টির মধ্যেই চলছে সড়কের পিচ ঢালাই, স্থানীয়দের ক্ষোভ

আশিকুর রহমান হৃদয়, শরীয়তপুর

আশিকুর রহমান হৃদয়, শরীয়তপুর

মে ২৫, ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম


শরীয়তপুরে বৃষ্টির মধ্যেই চলছে সড়কের পিচ ঢালাই, স্থানীয়দের ক্ষোভ

একদিকে আকাশ থেকে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ভেজা সড়কে চলছে পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) কাজ—এমন চিত্র দেখা গেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলার একটি গ্রামীণ সড়কে। গত দুইদিন ধরে সকালবেলা বৃষ্টির মধ্যেই কার্পেটিং কাজ চলায় দ্রুত সময়েই সড়কটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত এলজিইডি কর্মকর্তারা শুরুতে নীরব থাকলেও পরে বিষয়টি জানার পর প্রকৌশল দপ্তর থেকে কাজ বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের চর সোনামুখী দাড়িয়া বাড়ি থেকে পশ্চিম সোনামুখী পর্যন্ত ১ হাজার ৮০০ মিটার দীর্ঘ সড়কটি সংস্কারে ৮৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছেন স্থানীয় ঠিকাদার রাজিব হোসেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকেই সড়কটির নির্মাণ কাজে অনিয়ম করা হচ্ছে। দুই পাশে এজিং অংশ এবং খোয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ইট। কয়েকদিন আগে সড়কে প্রাইমকোট দেয়া হলেও বৃষ্টিতে তা ধুয়ে যায় এবং পুনরায় প্রাইমকোট না দিয়েই পিচ ঢালাই শুরু করা হয়।

শনিবার সকাল ৮টা ৫৯ মিনিট এবং রোববার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যেই শ্রমিকরা পিচ ঢালাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সড়কের পাশে জমে থাকা পানি বেলচার দিয়ে সরিয়ে একই স্থানে কার্পেটিং করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাড়িয়া বলেন, “বৃষ্টির মধ্যে কাজ করায় রাস্তাটি বেশিদিন টিকবে না। প্রাইমকোট ধুয়ে যাওয়ার পরেও কাজ চালিয়ে যাওয়াটা পুরোপুরি অনিয়ম।”

আরেক বাসিন্দা বাবুল কুলু বলেন, “রাস্তার দু'পাশে এবং খোয়ার কাজে পঁচা ইট ব্যবহার করা হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে পিচ ঢালাই করলে টেকসই হবে না—এটা বলার পরেও তারা শোনেনি।”

ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা এলজিইডির কার্যসহকারী শরীয়তউল্লাহ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ছাতা দিয়ে মুখ ঢেকে চলে যান। পরে তিনি শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করতে বলেন।

এ বিষয়ে ঠিকাদার রাজিব হোসেন বলেন, “বৃষ্টির মধ্যে কোনো কাজ হয়নি। যেটুকু সময় কাজ হয়েছে, তা নিয়ম মেনেই হয়েছে।”

জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রাফেউল ইসলাম বলেন, “বৃষ্টির মধ্যে কাজ করলে তা টেকসই হয় না। খবর পেয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি এবং রৌদ্র না ওঠা পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া আগের কাজ সংশোধন করে নতুন করে কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”

ইএইচ

Link copied!