যশোর ব্যুরো
মে ২৫, ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
যশোর ব্যুরো
মে ২৫, ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
নকল নবিসদের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তসহ বিভিন্ন দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরার অ্যাসোসিয়েশন ও বৈষম্যবিরোধী নকল নবিস দাবি আদায় পরিষদ।
রোববার যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— নিবন্ধন অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত (খসড়া) বিধিমালায় নকল নবিসদের কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা, নিবন্ধন ম্যানুয়াল অনুযায়ী স্থায়ী মোহরার, টিসি মোহরার, অফিস সহকারীসহ নবসৃষ্ট সব পদে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নকল নবিসদের পদায়ন করা, বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ সাবেক আইনমন্ত্রীর অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া সব নিয়োগ বাতিল করা।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, নিবন্ধন অধিপ্তরের আওতাধীন দেশের সব জেলা মহাফেজখানা ও ৫১৬টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রায় ১৬ হাজার নকল নবিস দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত। তারা দলিল লিপিবদ্ধকরণ ও নকল সরবরাহের মাধ্যমে সরকারকে রাজস্ব দিয়ে আসছেন, অথচ বছরের পর বছর ধরে তারা অস্থায়ীভাবে কাজ করে চলেছেন।
তারা আরও বলেন, নকল নবিসরা সরকারি কোনো বেতন-ভাতা পান না। বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা, ঈদ বোনাস, ধর্মীয় উৎসব ভাতা—সরকারি কোনো সুবিধাই তাদের নেই। নারী নকল নবিসরা বিনা পারিশ্রমিকে মাতৃত্বকালীন ছুটি নেন।
নেতারা জানান, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত ১৬ হাজার ২৪৬ জন এক্সট্রা মোহরার/নকল নবিসদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ১৯৮২ সাল থেকে আন্দোলন চলছে। স্বাধীনতার পর সরকার ও সংসদের পক্ষ থেকে জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি এলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
তাদের ভাষ্যে, জমির দলিলের এক পৃষ্ঠা বালামে লেখার জন্য সরকার ৪০ টাকা রাজস্ব আদায় করে, যার মধ্যে মাত্র ২৪ টাকা নকল নবিসকে দেওয়া হয়। বাকি ১৬ টাকা সরকার রাজস্ব খাতে জমা রাখে। নকল নবিসদের প্রাপ্য এই অর্থ দিয়েই তাদের চাকরি জাতীয়করণ সম্ভব।
তারা সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নকল নবিসদের চাকরি স্থায়ীকরণের জোর দাবি জানান।
স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— জেলা সভাপতি মো. আলী আকবর, সাধারণ সম্পাদক খাজা ফজিলাই উজ্জ্বল, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি শিমুল আক্তার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, নূরন্নবী, মরিয়ম খাতুন, শামীমা আক্তার সীমি প্রমুখ।
ইএইচ