ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ইয়ামিন হাসান, সাঘাটা (গাইবান্ধা)

ইয়ামিন হাসান, সাঘাটা (গাইবান্ধা)

মে ২৬, ২০২৫, ০২:২৪ পিএম

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন দ্বিতল ভবনটি বর্তমানে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভবনের ছাদের একাংশ দেবে গিয়ে নিচতলার অফিস কক্ষের জানালার গ্রিল বেঁকে গেছে। জানালা কিংবা দরজা খোলার সময় সামান্য কাঁপনেই ছাদ থেকে খসে পড়ছে প্লাস্টার। এতে করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে।

২০০১ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করে। তবে নির্মাণের অল্প সময়ের মধ্যেই ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়। অভিযোগ রয়েছে, ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হয়েছিল, যার ফলে এটি বর্তমানে প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয় পরিদর্শনে দেখা গেছে, ভবনের পিলার ও ছাদে বড় বড় ফাটল, শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে, ছাদের খোসা খসে পড়ছে শিক্ষার্থীদের ওপর। 

কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বৃষ্টি হলেই শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে এবং মাঝে মাঝে ছাদের অংশ গায়ে পড়ে যায়। 

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী লুতফিয়া জান্নাত বলে, "আমরা সবসময় ভয় পাই, কখন জানি ভবন ভেঙে পড়ে।"

শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিছুদিন আগে ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনের কিছু অংশ মেরামত করা হয়েছিল। তবে তা তেমন কার্যকর হয়নি। পিলার ও দেয়ালের ফাটল আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, শিশুদের এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠানো নিয়ে তারা প্রতিনিয়ত উদ্বেগে থাকেন। তাঁদের প্রশ্ন, শুধু রংচং করে কি ভবনের প্রকৃত দুরবস্থা আড়াল করা সম্ভব?

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী অতুল চন্দ্র বলেন, “ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বিষয়টি আমরা উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিতভাবে জানিয়েছি। নতুন ভবনের জন্য আবেদনও করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহীশ শাফী বলেন, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।”

ইএইচ

Link copied!