ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

যশোরে ১৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ, টাকা ফেরত চাইলে স্ত্রীর নামে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

যশোর ব্যুরো

যশোর ব্যুরো

মে ২৬, ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম

যশোরে ১৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ, টাকা ফেরত চাইলে স্ত্রীর নামে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

বিদেশে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৩ লাখ টাকা আত্মসাৎকারী রবিউল ইসলামের ষড়যন্ত্রের শিকার যশোর সদরের ঘোপ গ্রামের মোশারফ হোসেন। সুচতুর রবিউল ইসলাম এখন তার স্ত্রীকে দিয়ে মোশারফ হোসেন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ ও আদালতে মামলা করে হয়রানি করছে। ভুক্তভোগী মোশাররফ হোসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেনা। 

মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন, আমার বাড়ি যশোর সদরের ঘোপ গ্রামে। মালয়েশিয়া প্রবাসী আমার শ্যালক হাফিজুর রহমান রাসেল,যশোর সদরের রামনগর ইউনিয়নের সিরাজসিংগা গ্রামের রবিউল ইসলামের পূর্ব পরিচিত। আড়াই বছর আগে রাসেল দেশে আসলে রবিউল ইসলাম ভালো বেতনে মোট ৪ জনকে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। রবিউলের প্রস্তাবে রাজি হয়ে রাসেল তার চাচাতো ভাইদের মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। রবিউল তাদের মালয়েশিয়া পাঠাতে ব্যর্থ হয়। তখন রাসেল রবিউলের কাছে টাকা ফেরত চাইলে দিতে স্বীকার করে। রাসেল ফের দেশে আসলে সালিশের মাধ্যমে রবিউল দুই লাখ টাকা করে দুই কিস্তিতে ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করে। বাকি ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করে দিবে বলে স্টাম্পে চুক্তিনামা করে দেয়। রবিউল চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে একটি টাকাও দেয়নি। রাসেল আবারও মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসে টাকা চাইলে রবিউলের স্ত্রী ফেরত দিবে বলে জানায়। হাফিজুর রহমান রাসেলের অনুপস্থিতে তার বোন জামাই যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের ঘোপ গ্রামের বাসিন্দা মো. মোশারফ হোসেন, গত ১০ফেব্রুয়ারি টাকা চাইতে গেলে তাকে ভয়ভীতি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। 

ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেন খুবই আক্ষেপ করে বলেন,রবিউল ইসলাম এর কাছে উক্ত টাকা ফেরত চাইতে গেলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিতে থাকে এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখায় উপস্থিত হয়ে গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভুঞার নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করি উক্ত অভিযোগটি তদন্তের জন্য এসআই কামরুজ্জামানকে নির্দেশ দেওয়া হয় কিন্তু তিনি কালক্ষেপণ করায় পরবর্তীতে ডিবির এসআই আব্দুল হাইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অভিযোগটি বিগত চার মাস পার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।এরপর সুচতুর রবিউল ইসলাম তার স্ত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি চাঁদাবাজির মিথ্যে অভিযোগ দাখিল করে। যশোর কোতোয়ালি থানার এ এসআই নুর ইসলাম ওই নারীর দায়ের করা চাঁদাবাজির অভিযোগটি তদন্ত করতে যেয়ে কোন সাক্ষী ও অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি। বিষয়টি যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান বলেন, অভিযোগটা তদন্ত করে কোন সত্যতা পায়নি এএসআই নুর ইসলাম। এরপর রবিউলের স্ত্রী সাজেদা খাতুন আমিসহ সিরাজসিংহা ও কুয়াদা গ্রামের আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা করেছে। 

মোশারফ হোসেন বলেন,রবিউল আমার চাচাতো শ্যালকদের মালয়েশিয়া পাঠানোর নামে ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনায় আসামি রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী সাজেদা খাতুন এর বিরুদ্ধে থানায় ও যশোর ডিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেইনি।উল্টো প্রতারক রবিউল তার স্ত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা করছে।

ভুক্তভোগী মোশাররফ হোসেন এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে আছে বলে জানা গেছে।

আরএস

Link copied!