অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
মে ২৬, ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
মে ২৬, ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম
যশোরের অভয়নগর কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মতুয়া সম্প্রদায়ের ১৩ পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) দুপুরে উপজেলা সুন্দলী ইউনিয়নের ডগরমশিয়াহাটী গ্রামের বেড়েধাপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করেন- কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অভয়নগর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু, নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান লিপু, সহ-সভাপতি শাহ্ মোহাম্মদ জোবায়ের, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম মুজিবর রহমান, শ্রমিক দল নওয়াপাড়া শিল্পাঞ্চল শাখার সাধারণ সম্পাদক ও নিহতের বড়ভাই এস এম রফিকুজ্জামান টুলু, থানা যুবদলের আহবায়ক বাকীউজ্জামান রানা, বিএনপি নেতা মাসুদ রানা, ইকবাল সরদার, কৃষক দল নেতা সুমন মোগল, আশরাফুজ্জামান প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব বলেন, ‘বেড়েধাপাড়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সেদিন তরিকুলের মরদেহ নিয়ে ব্যস্ত ছিল দলের নেতাকর্মীরা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষ এই ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাতে পারে। যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা রয়েছে। তাই আজ ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি পরিবারকে চাল, ঢাল ও নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
অপরদিকে সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি জে এল ভৌমিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করেন। এসময় যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সার্বিক বিষয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলীম বলেন, ‘তরিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড়ভাই এস এম রফিকুজ্জামান টুলু বাদী হয়ে ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার বিকালে এ মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এছাড়া ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সনাক্তের কাজ করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও তার এক সহযোগী সুমন সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে বেড়েধাপাড়ায় পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে যান। সেখানে মৎস্যঘেরের জমি সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর শেষে পিন্টু বিশ্বাসের সঙ্গে তরিকুলের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত বাড়ির ভেতরে ঢুকে তরিকুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িসহ আশপাশের ১৩টি পরিবারের ১৮টি ঘরে ভাঙচুর-লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আরএস