শাহিনুজ্জামান, শ্রীপুর (মাগুরা)
মে ২৯, ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
শাহিনুজ্জামান, শ্রীপুর (মাগুরা)
মে ২৯, ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হরিন্দী গ্রামে রায় পরিবারের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা চেতনানাশক স্প্রে প্রয়োগ করে তিনজনকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা বর্তমানে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায় জানান, তার পিতা হিমাংশু শিখর রায় (৮০), বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শ্রীপুর উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক। কয়েকদিন ধরে অসুস্থ থাকায় পরিবারের সদস্যরা রাতে তাঁর সাথেই অবস্থান করছিলেন। এ কারণে ঘরের বারান্দার গ্রিল খোলা ছিল, তবে বাড়ির মূল ফটকে তালা লাগানো ছিল।
ড. হিমাদ্রী জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়ির লোকজন জেগে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়ের পর দুর্বৃত্তরা প্রাচীর টপকে অথবা পূর্ব থেকে ভেতরে লুকিয়ে থেকে হামলা চালায়। পরে তারা পরিবারের সদস্যদের উপর চেতনানাশক স্প্রে করে অচেতন করে ফেলে এবং সোনা, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়।
বুধবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ড. হিমাদ্রীর মামা মনোরঞ্জন রায় প্রধান ফটকে এসে ডাকাডাকি করলেও সাড়া না পেয়ে পাশের দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে দেখতে পান ঘরের মালামাল এলোমেলো এবং হিমাংশু শিখর রায়, কিশোর কুমার রায় মধু (৬০) ও গৃহবধূ চন্দনা রায় (৫০) অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে তাদের দ্রুত মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের জ্ঞান ফিরে আসেনি।
মাগুরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পল্লব কুমার সাহা জানান, “রোগীদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত, তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে। কোন ধরনের চেতনানাশক প্রয়োগ করা হয়েছে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে।”
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইদ্রিস আলী বলেন, “সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বাড়ির সবাই অচেতন থাকায় প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে এবং দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
ইএইচ