কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
মে ৩১, ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে ১ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণ কাজ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এ সেতুটি চালু হলে দুই উপজেলার মানুষ যাতায়াতে নতুন মাত্রা পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর, প্রায় ১৭৭ কোটি ২৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা ব্যয়ে অষ্টগ্রামের বাংগালপাড়া এলাকায় মেঘনা নদীর ওপর এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে ‘তমা কনস্ট্রাকশন’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে সেতুর ২৬টি পিলারের মধ্যে ১৬টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে এবং পুরো কাজের প্রায় ৩৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।
সেতুর নির্মাণকাজে কিছুটা বিলম্ব হলেও বর্তমানে কাজ দ্রুত গতিতে চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী বছরের শুরুতেই প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রকৌশলীরা।
নোয়াগাঁও গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো. মনির হোসেন বলেন, “এই ব্রিজটি হওয়ার আগে যদি আমরা ঢাকায় বা অন্য কোনো জেলায় যেতে চাইতাম, তাহলে তিন ঘণ্টার পথ পাঁচ ঘণ্টায় যেতে হতো। ব্রিজটি হলে সময় কমে ৩০–৪০ মিনিটে পৌঁছানো সম্ভব হবে। এতে আমাদের অনেক সুবিধা হবে।”
একই গ্রামের মো. আনিছুর রহমান বলেন, “আমরা হাওরের মানুষ। রোগী নিয়ে ঢাকায় পৌঁছাতে ৪-৫ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ব্রিজটি হলে ২-৩ ঘণ্টায়ই যাওয়া সম্ভব হবে। যাতায়াত সহজ হলে হাওরের ধান ও মাছের ন্যায্যমূল্যও পাওয়া যাবে।”
অষ্টগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ রেজাউল হক বলেন, “জমি অধিগ্রহণের জটিলতা ও স্থানীয় বাধার কারণে কিছুটা দেরি হলেও এখন কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। আশা করছি আগামী বছরের শুরুতে কাজ শেষ হবে।”
এলজিইডির কিশোরগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম বলেন, “এই সেতু চালু হলে অষ্টগ্রাম ও নাসিরনগরের মানুষ সারা বছর সহজে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করতে পারবে। এতে হাওরের কৃষিপণ্য ও মিঠা পানির মাছের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে, যা হাওরবাসীর অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
ইএইচ
