মিরাজ আহমেদ, মাগুরা
জুন ২, ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম
মিরাজ আহমেদ, মাগুরা
জুন ২, ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম
“উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ (১ম সংশোধিত)” প্রকল্পের আওতায় মাগুরা সদর উপজেলায় পাটচাষীদের জন্য দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন উপজেলার নির্বাচিত ৭৫ জন পাটচাষী।
কর্মশালার আয়োজন করে পাট অধিদপ্তর, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং উপজেলা প্রশাসন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হাসান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তোজাম্মেল হক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক প্রকাশ চন্দ্র সরকার, পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ মো. মাহবুব উল ইসলাম এবং উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মমিনুর জামান।
ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন পাট অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সত্যকাম সেন।
প্রশিক্ষণে পাট ও পাটবীজ উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে ‘রবি-১’ জাতের পাটচাষ, উন্নত বীজ ব্যবস্থাপনা, জমি প্রস্তুতি, সার প্রয়োগ, বালাইনাশক ব্যবহার, আন্তঃপরিচর্যা, পাট কর্তন, পচন প্রক্রিয়া এবং পাটের গ্রেডিং ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন পাট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কর্মকর্তারা।
কর্মশালায় অংশ নেওয়া শত্রুজিৎপুর এলাকার কৃষক সৌরভ অভিযোগ করে বলেন, "সরকারি ভাবে আমরা যে পাটবীজ পেয়ে থাকি, তা যেন সময়মতো—অর্থাৎ মাঠে বপনের আগেই সরবরাহ করা হয়। পরে পেলে তা কাজে আসে না।"
প্রশিক্ষণ চলাকালে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য চাষী কার্ড ও রেজিস্টারে সংরক্ষণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কর্মশালার শেষে অংশগ্রহণকারীদের নির্ধারিত সম্মানীভাতা প্রদান করার কথাও জানানো হয়।
এ ছাড়া, একটি মুক্ত আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয় যেখানে কৃষকরা তাদের অভিজ্ঞতা, সমস্যা ও মতামত উপস্থাপন করেন। আলোচনা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আয়োজকরা জানান, এই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ৪৫টি জেলার ২২৮টি উপজেলায় একই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ৭৫ জন করে পাটচাষীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাস্তবায়িত এ প্রকল্পটি দেশের পাট শিল্পের আধুনিকায়ন, কৃষকের আয় বৃদ্ধি এবং জাতীয় অর্থনীতিতে পাটের অবদান আরও বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।
ইএইচ