Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫,

কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে মাগুরায় ৫৫ টন লবণ বিতরণ

মিরাজ আহমেদ, মাগুরা

মিরাজ আহমেদ, মাগুরা

জুন ৫, ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম


কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে মাগুরায় ৫৫ টন লবণ বিতরণ

পবিত্র ঈদুল আযহা ২০২৫ উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণের লক্ষ্যে মাগুরা জেলার চারটি উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে সরকারিভাবে ৫৫ টন লবণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠান পূর্বেও চামড়া সংরক্ষণের অভিজ্ঞতা রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণে আগ্রহী, মূলত তাদেরকেই এই লবণ সরবরাহ করা হয়েছে।

মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হাসান বলেন, “চামড়া একটি জাতীয় সম্পদ। এটি যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য এবার আগেই লবণ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশিক্ষিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যক্রম চালানো হয়েছে।”

এদিকে, চামড়া সংগ্রহ ও বিক্রয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবারও লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে।

ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০–৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫–৬০ টাকা, খাসির চামড়া ২২–২৭ টাকা ও বকরির চামড়া ২০–২২ টাকা দরে বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মাগুরা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আশরাফ বলেন, “সরকারি মূল্য নির্ধারণ বাস্তবভিত্তিক। আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী চামড়া সংগ্রহ করবো এবং সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।”

ধলহরা মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা জাবের বলেন, “আমরা প্রতি বছরই চামড়া সংরক্ষণ করি। এবার আগেভাগে লবণ পাওয়ায় চামড়া নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমবে। জেলা প্রশাসনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”

বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বার্তায় মাগুরা পৌরসভার প্রশাসক আব্দুল কাদের বলেন, “চামড়া জাতীয় সম্পদ। সঠিকভাবে সংরক্ষণ না হলে তা নষ্ট হয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে। এজন্য পৌরসভা থেকে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। নাগরিকদের দ্রুত লবণ প্রয়োগ করে নির্ধারিত সংগ্রহ কেন্দ্রে চামড়া হস্তান্তরের অনুরোধ জানানো হয়েছে।”

মাগুরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, “চামড়া পাচার বা অবৈধভাবে সংগ্রহ ও বিপণন রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি বা কমে কেনাবেচা বা সংরক্ষণে গাফিলতি হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ঈদের মৌসুমে চামড়ার সঠিক সংরক্ষণ ও ন্যায্য মূল্যে বিক্রি নিশ্চিত করা গেলে তা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

ইএইচ

Link copied!