মাগুরা প্রতিনিধি
জুন ১২, ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম
মাগুরা প্রতিনিধি
জুন ১২, ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম
পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাগুরা পৌরসভা সম্প্রতি চালু করেছে একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রকল্প—প্লাস্টিক বোতল সংগ্রহের জন্য বিশেষ ‘বিন’।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে বোতল-আকৃতির বিশাল লোহার খাঁচা, যেখানে পথচারীরা সহজেই ফেলে দিতে পারছেন ব্যবহৃত প্লাস্টিক বোতল।
এই উদ্যোগটি শহরের পরিচ্ছন্নতা রক্ষার পাশাপাশি প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে। স্থানীয় জনগণের মধ্যে এ নিয়ে ইতিবাচক সাড়া দেখা গেছে। দোকানদার থেকে শুরু করে পথচারীরা বলছেন, এই উদ্যোগ তাঁদের রাস্তা কিংবা ড্রেনে প্লাস্টিক ফেলার প্রবণতা থেকে বিরত রেখেছে।
উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো- প্লাস্টিক বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া, পরিবেশ দূষণ হ্রাস করা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
মাগুরা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান বারী বলেন,
“আমরা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে জনগণের সহায়তা কামনা করছি। প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হচ্ছে সঠিকভাবে বর্জ্য ফেলা এবং রিসাইক্লিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা রাসেল বলেন, “আগে রাস্তায় বোতল পড়ে থাকত, এখন সবাই বোতল নির্ধারিত বিনে ফেলছে। এতে পরিবেশ পরিষ্কার থাকছে।”
পৌরসভা সূত্র জানায়, ভবিষ্যতে শহরের স্কুল-কলেজ, পার্ক ও জনসমাগমস্থলে আরও প্লাস্টিক বোতল সংগ্রহ বিন বসানো হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন পরিচালনার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর প্রশাসক আব্দুল কাদের বলেন, “আমরা মাগুরাকে একটি পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি। প্লাস্টিক বর্জ্য আমাদের পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি। তাই শহরের বিভিন্ন স্থানে বোতল-আকৃতির বর্জ্য বিন বসানো হয়েছে, যাতে নাগরিকরা সচেতনভাবে ব্যবহৃত বোতল ফেলতে পারেন। এই উদ্যোগ শুধু শহরকে পরিষ্কার রাখবে না, বরং রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা প্রত্যাশা করি, প্রতিটি নাগরিক এই কার্যক্রমে অংশ নেবে এবং অন্যদেরও সচেতন করে তুলবে।”
এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে পরিবেশবান্ধব নাগরিক মানস গঠনে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে।
ইএইচ