ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

সুন্দরপুর জমিদার বাড়ি: ইতিহাসের গর্ভে হারানো এক রাজকীয় অধ্যায়

সাইফুল ইসলাম, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) 

সাইফুল ইসলাম, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) 

জুন ১৫, ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

সুন্দরপুর জমিদার বাড়ি: ইতিহাসের গর্ভে হারানো এক রাজকীয় অধ্যায়

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার এস.বি.কে ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদতীরবর্তী গ্রাম সুন্দরপুর—যার বুকে আজও দাঁড়িয়ে আছে দুই শতাব্দী প্রাচীন একটি জমিদার বাড়ি। এই বাড়িটি শুধু স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন নয়, বরং দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলার সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসের এক নিরব সাক্ষী।

ইউরোপীয় স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত এই রাজকীয় প্রাসাদটির দৃষ্টিনন্দন বৈঠকখানা, প্রশস্ত উঠান ও সৌকর্যমণ্ডিত কক্ষগুলোর দেয়ালে জমে আছে অতীতের গৌরবগাথা। ১৮৮৬ সালে এই জমিদার বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেন খান সাহেব ফজলুর রহমান চৌধুরী। তার পিতা সুরত আলি চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন সময়ের প্রভাবশালী জমিদার। 

তবে ফজলুর রহমান ছিলেন ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তি। জমিদারির প্রভাবকে তিনি শুধুমাত্র শাসনের হাতিয়ার না বানিয়ে, ব্যবহার করেছিলেন উন্নয়ন, শিক্ষা এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প সম্প্রসারণে।

তার এই যুগান্তকারী কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৩২ সালে ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল ‘অফ ওয়েলিংটন’ তাঁকে “খান সাহেব” উপাধিতে ভূষিত করেন।

ইতিহাসবিদদের মতে, ১৯৪০ সালের ‘পাট বিপ্লবে’ ফজলুর রহমান চৌধুরীর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। তিনি স্থানীয় কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের পাট বীজ সরবরাহ ও আধুনিক সংরক্ষণ পদ্ধতি চালু করে ব্যাপক সাড়া ফেলেন। তাঁর এই উদ্যোগ কৃষি উন্নয়নের একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।

জানা যায়, এ বাড়িতে বিভিন্ন সময় অবস্থান করেছিলেন জাতীয় নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং এ. কে. ফজলুল হকের মতো ব্যক্তিত্বরা। কাছারি ঘরের ধূসর দেয়াল আজও বহন করছে তাঁদের আগমনের স্মৃতি।

সুন্দরপুর জমিদার বাড়ি শুধু একটি ঐতিহাসিক ভবন নয়, বরং এ অঞ্চল তথা দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটির সংরক্ষণে এখনো কোনো সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমেই যতটুকু সম্ভব ইতিহাসকে ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।

বলা চলে, এটি কেবল এক জমিদার পরিবারের স্মৃতি নয়—সুন্দরপুর জমিদার বাড়ি হয়ে উঠেছে দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিভূ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এর যথাযথ সংরক্ষণ এখন সময়ের দাবি।

ইএইচ

Link copied!