ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫
Amar Sangbad

মহাসড়কের পাশেই ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ কাশিয়ানীবাসী

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

জুন ২২, ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম

মহাসড়কের পাশেই ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ কাশিয়ানীবাসী

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। নির্দিষ্ট কোনো ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় বাসাবাড়ি, বাজার, কারখানা, খাবার হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার এবং কসাইখানার উচ্ছিষ্ট ময়লা মহাসড়কের পাশেই ফেলা হচ্ছে। এতে এলাকাটি এখন রীতিমতো ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

ময়লার স্তূপ থেকে নির্গত উৎকট দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। খোলা স্থানে ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এভাবে ময়লা ফেলার কারণে বাতাসে ছড়াচ্ছে নানা রোগজীবাণু, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা এবং বসতবাড়ির আশপাশে এমন পরিবেশে ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষকে নাকে কাপড় চাপা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

কাশিয়ানী প্যারামেডিকেল হাসপাতাল অ্যান্ড কলেজ, কাশিয়ানী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভাটিয়াপাড়া র‌্যাব ক্যাম্প, এবং আশপাশের কয়েকটি মসজিদ-মাদ্রাসার সন্নিকটে হওয়ায় সমস্যাটি আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, জনবসতি এলাকা থেকে ভাগাড়টি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হোক।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. জামাল শেখ বলেন, “ময়লার গন্ধে রাস্তায় চলাচল করাই কষ্টকর। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা নাকে কাপড় দিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ময়লা ফেলার জন্য নির্জন কোনো সরকারি জমিতে ডাম্পিং স্টেশন করা হোক।”

পথচারী মো. কামরুল ইসলাম জানান, “প্রতিদিন এই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। ভাটিয়াপাড়া গোল চত্বর ও কাশিয়ানী বাজারের আশপাশে হাজারো মানুষের চলাচল। ময়লার দুর্গন্ধে মানুষ অতিষ্ঠ।”

কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, “খোলা জায়গায় ময়লা ফেললে তা থেকে সংক্রামক রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। দুর্গন্ধ ও জীবাণুবাহিত ধোঁয়া শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে পাকস্থলীতে গিয়ে রোগ সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ঝুঁকিতে পড়ে।”

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা জান্নাত বলেন, “উপজেলার ময়লা-আবর্জনা জনবসতি এলাকায় না ফেলে দূরে কোথাও সরকারি জমিতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে উপযুক্ত জায়গা খোঁজার কাজ চলছে। আপাতত দুর্গন্ধ ছড়ানো রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইএইচ

Link copied!