কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
জুলাই ৯, ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বক্তব্য ও অবস্থান নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া।
বুধবার বেলা ১০টায় নিজের ফেসবুক আইডিতে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি ফজলুর রহমানকে ‘সতর্ক’ করে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে অনতিবিলম্বে ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ভূমিকা ও বক্তব্যের বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো প্রয়োজন বলে আমি, এবং আমার মতো লাখো নেতা-কর্মী মনে করি। অন্যথায় একটি বড় ধরনের ভোট বিপর্যয় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে—এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।”
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সভানেত্রী নুসরাত জাহানসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিএনপি নেতাকর্মীরাও ফজলুর রহমানের বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।
দলের প্রবীণ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য ঘিরে কিশোরগঞ্জে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক, ক্ষোভ ও হতাশা। তার বক্তব্যে একদলীয় শাসন, অতীত ইতিহাস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য এবং চলমান ছাত্র গণআন্দোলনের প্রতি বিরূপ মনোভাব—সবকিছুই নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে যে, তিনি আদৌ বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী কিনা।
ইসরাইল মিয়ার ফেসবুক স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করা হয়, “যাকে দেবতুল্য করে উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে, তিনিই একদিন জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে পরিবারসহ পালিয়ে গিয়েছিলেন। রক্তাক্ত রাজপথে রেখে গিয়েছিলেন নিরস্ত্র জাতিকে।”
পোস্টটির শেষাংশে লেখা হয়, “আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী নই, গণতন্ত্র ও ইসলামবিরোধী নই। বরং আমরা ২০২৪ সালের ছাত্র গণআন্দোলনের পক্ষেই আছি। দেশনেত্রী ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথেই থাকব ইনশাআল্লাহ।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফজলুর রহমানের বক্তব্য কেবল ব্যক্তিগত মত নয়, বরং তা বিএনপির অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব, বিভ্রান্তি এবং আদর্শিক সংকটের প্রতিফলন। এতে দলের মধ্যে আত্মসমালোচনার যেমন প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে, তেমনি স্পষ্ট হয়েছে ঐক্যের অভাবও।
ইএইচ