ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

পাটগ্রামে পানির অভাবে আমন ধান রোপণ করতে পারছেন না কৃষকরা

রমজান আলী, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)

রমজান আলী, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)

জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম

পাটগ্রামে পানির অভাবে আমন ধান রোপণ করতে পারছেন না কৃষকরা

বাংলা দিনপঞ্জি অনুযায়ী আষাঢ় মাস শেষ হলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ফলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে না পেরে চরম উদ্বেগে রয়েছেন। সময়মতো চারা রোপণ না হলে উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

তবে অনেক কৃষক বৃষ্টির অপেক্ষায় না থেকে শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটরচালিত সেচযন্ত্র ব্যবহার করে আমন ধান রোপণ শুরু করেছেন। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা আশানুরূপ লাভের আশা করছেন না।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ কৃষক তাদের জমি আমন রোপণের জন্য প্রস্তুত করলেও অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড রোদের কারণে সেই জমিগুলো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। জমিতে আগাছা বেড়ে গেছে, আর বীজতলায় পানি সংকটে ধানের চারা লাল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। চারার বয়স বেড়ে যাওয়ায় তা মরে যাওয়ার আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেক চাষি।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পাটগ্রাম উপজেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।

বুড়িমারী ইউনিয়নের কৃষক রেজওয়ান হোসেন বলেন, “আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেল, এখনো বৃষ্টিপাত নেই। ধান লাগাতে পারছি না। বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিয়ে দুই বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি।”

একই এলাকার কৃষক তফিজুল ইসলাম বলেন, “কয়েকদিন ধরে কোনো বৃষ্টি নেই। বীজতলার চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে পানি তুলে চারা রোপণ করেছি। এতে খরচ অনেক বেশি হচ্ছে।”

কুচলীবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক শাকিল জানান, “মাঝে মাঝে আকাশে মেঘ দেখা গেলেও বৃষ্টি হয় না। প্রচণ্ড রোদের কারণে জমি ফেটে গেছে। বীজতলার চারা লাল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। কবে ধানের চারা রোপণ করব, তা নিয়েই চিন্তায় আছি।”

এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল গাফফার বলেন, “আমন রোপণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কিছুটা ধীরগতিতে রোপণ হচ্ছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমস্যা হবে না। যাদের চারা ৩৫–৪০ দিন বয়স অতিক্রম করেছে, তাদেরকে সেচযন্ত্র ব্যবহার করে দ্রুত রোপণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”

ইএইচ

Link copied!