আমার সংবাদ ডেস্ক
জুলাই ১১, ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান শুল্কবিষয়ক আলোচনার দ্বিতীয় দিনে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে উভয় দেশ মোটামুটি একমত হয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের গতি-প্রকৃতি, শুল্ক নীতি ও অন্যান্য অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন ও যুক্তিতর্ক হয়েছে। আলোচনার কিছু অংশে উভয় পক্ষ ইতিবাচক সমঝোতায় পৌঁছালেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এখনো মীমাংসিত হয়নি।
ওয়াশিংটন ডিসিতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এই আলোচনা শেষ হয়। শুক্রবার সকাল ৯টায় তৃতীয় দিনের আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার পোস্টে আরও জানানো হয়, দ্বিতীয় দিনের আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের একান্ত বৈঠক। তিনি ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (USTR) অ্যাম্বাসেডর জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গ্রিয়ার সাবেক ট্রাম্প প্রশাসনে মন্ত্রী পদমর্যাদার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। তাঁদের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, শুল্ক ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ পরিকল্পনা ও ন্যায্য শুল্ক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ড. ইউনূসের পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ কেবল যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিই নয়, বরং আমদানিও বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতোমধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ চায়, শুল্ক কাঠামো যেন তার জন্য প্রতিযোগিতামূলক ও ন্যায্য থাকে। এ বিষয়ে জেমিসন গ্রিয়ার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ঢাকায় অবস্থিত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান এবং অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাওসার চৌধুরী ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
ইএইচ