ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দুধ বাড়িয়া গ্রামে যুবলীগ নেতার আ.বারেক বিরুদ্ধে (৫০) পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার বিচারে সালিশ বৈঠক করেন গ্রামের মাতবরেরা। সালিশে ওই নেতাকে চড়-থাপ্পড় মেরে মীমাংসা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
তবে মাতবরেরা বলছেন, ধর্ষণের ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও পরিবারটি তা করেনি।
ভুক্তভোগী শিশু বর্তমানে স্থানীয় এক ডাক্তার চেম্বারে চিকিৎসাধীন।
রোববার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সে বেডে খেলা করছে। তার পাশেই বসে আছেন মা-বাবা। তারা শিশুটির এ অবস্থায় ভেঙে পড়েছেন।
ভুক্তভোগীর মা জানান, গত ১১ জুলাই শিশুটিকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের আ.বারেক মৃধা নামের একজন। ঘটনার দিন সকালে ওই শিশুর নানিকে এগিয়ে দিতে বাড়ির বাইরে যান তার মা। এর কিছুক্ষণ পর শিশুটি আ.বারিকের বাড়ি থেকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে আসতে দেখে সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, বিশা তার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। বিষয়টি গ্রামের মুরুব্বিদের জানালে তারা পরদিন রাতে বাড়িতে সালিশ বসান। সালিশে বিশাকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে মাতবররা বলেন, সালিশ শেষ। এর পরদিন শুক্রবার ভুক্তভোগী শিশু পেট ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় ডাক্তার দেখানো স্বজনেরা।
শিশুটির মা বাবা বলেন, মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে থানায় যাইনি। সমাজ প্রধান বলেছেন, আগে চিকিৎসা করিয়ে আনো, তারপর মামলা করতে পারবা। এখন থানায় মামলা করবো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা করতে বসা সালিশে সমাজপ্রধান আ. বারিক মৃধা ও স্থানীয় প্রধান আ.আজীজ, লতিফ, রওশন উপস্থিত ছিলেন।
সালিশে অভিযুক্ত আ.বারিককে চড়-থাপ্পড় মেরে মীমাংসা করা হয়ে। সেখানে এলাকার লোকজন ছিলেন।
সালিশে উপস্থিত আব্দুল লতিফ বলেন, ঘটনাটি জানার পর ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা থানায় যায়নি। আর সালিশে চড়-থাপ্পড় মেরে মীমাংসা করেছিল অভিযুক্ত বৃদ্ধর ভাই-ভাতিজারা। আমি শুধু উপস্থিত ছিলাম। এভাবে বিচার করা ঠিক হয়নি।
আ.বারিক দুধ বাড়িয়া গ্রামের মৃত্যু আলী আকবর মৃধার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
ধর্ষণের মতো ঘটনার বিচার সালিশ বৈঠকে করা যায় কি-না জানতে চাইলে রওশন মৃধা বলেন, আমি ভুক্তভোগীর পরিবারকে মামলা করতে বলেছিলাম। কিন্তু তা করেনি।
স্থানীয় ডাক্তার বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তার চিকিৎসা চলছে। এখন ভালো আছে। তবে মানসিকভাবে একটু দুর্বল।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা করার জন্য শিশুটির পরিবারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইএইচ