মোহাম্মদ আলী, বগুড়া
জুলাই ১৭, ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
বগুড়া পৌরসভার ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় প্রেমসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নাতবউ ও দাদীশ্বাশুড়ি খুন হয়েছেন।
বুধবার রাত ৯টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের বাসায় ঢুকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
নিহতরা হলেন—লাইলি খাতুন (৭৫) ও তার নাতি পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২২)। এ ঘটনায় পারভেজের ছোট বোন বন্যা (১৭) গুরুতর আহত হয়েছেন।
জানা যায়, নিহত লাইলি খাতুন হরিগাড়ী ইসলামপুর এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত লাইলির বাড়িতে ঢুকে প্রথমে হাবিবাকে, এরপর লাইলিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে পারভেজের ছোট বোন বন্যাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লাইলি বেওয়া ও হাবিবা ইয়াসমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বন্যাকে হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের স্বজনরা দাবি করেছেন, বন্যার প্রেমসংক্রান্ত বিষয় থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তাঁরা জানান, বন্যার সাবেক প্রেমিক একই এলাকার মাদকাসক্ত যুবক সৈকত ইসলাম এই হামলার মূল হোতা।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, বন্যা এবারের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। পড়াশোনার সময় প্রতিবেশী সৈকতের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে সৈকতের মাদকাসক্তির কারণে পরিবারের চাপে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়।
এরপর থেকেই সৈকত প্রায়ই বন্যাকে উত্ত্যক্ত করতেন এবং বিয়ের জন্য পরিবারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতেন। বুধবার বাড়িতে কোনো পুরুষ না থাকার সুযোগে সৈকত আরও কয়েকজন সহযোগী নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় ভাবি হাবিবা তাঁদের দেখে গালিগালাজ করলে প্রথমে তাঁকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এরপর লাইলি বেওয়াকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। তখন বন্যা এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা।
এ বিষয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, “আহত বন্যা পুলিশকে অভিযুক্ত হিসেবে সৈকতের নাম জানিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে।”
ইএইচ