Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও তালিকা প্রকাশের বিষয়ে যা জানা গেল

মো. মাসুম বিল্লাহ

মে ৮, ২০২২, ০৮:০৮ পিএম


এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও তালিকা প্রকাশের বিষয়ে যা জানা গেল

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রোববার (৮ মে) বেলা ১১টায় জানিয়েছেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, গত বছরের ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন জমা নেওয়া হয়েছে। তাতে নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ও ডিগ্রি কলেজ মিলে সাড়ে চার হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে। এছাড়া প্রায় চার হাজার মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। আবেদন করা মোট সাড়ে ৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাড়ে ৬ হাজার। আবেদন পাওয়ার পর কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা যায়, তা নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। এ বিষয়ে দ্রুতই ঘোষণা করা হবে। 

মন্ত্রী ব‌লেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলাম চালু হলে, শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো ক্ষতি হবে না। 

শেরপুরে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দীপু মনি।

এর আগে গত বছরের ২৯ মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার জন্য সংশোধিত এমপিও নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে এমপিওভুক্তির জন্য তিনটি শর্ত দেয়া হয়। শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার- এই তিন বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যায় ৩০, পরীক্ষার্থীর সংখ্যায় ৩০ এবং পাসের হারে ৪০ নম্বর রাখা হয়েছে। আগের নীতিমালায় প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির মেয়াদের ওপর ২৫ নম্বর ছিল, যা সংশোধিত নীতিমালায় বাদ দেয়া হয়েছে। কোন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম কতজন শিক্ষার্থী থাকতে হবে, তা-ও নীতিমালায় বেঁধে দেয়া হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ১২০ ও মফস্বলে ৯০, মাধ্যমিকে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ৪২০ ও মফস্বলে ৩২০, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে শহরে ২৫০ ও মফস্বলে ২২০ এবং ডিগ্রি কলেজে স্নাতকে শহরে ৪৯০ ও মফস্বলে ৪২৫ শিক্ষার্থী থাকতে হবে। পাসের হার স্তরভেদে ৪৫ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ করা হয়েছে।

পরে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্ত করতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করতে বলা হয়।

দেশে এ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। ২০১৯ সালে ২ হাজার ৬২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার পর নতুন করে আর কোনো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়নি। আর এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। 

এদিকে বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার বিষয়ে এমপিও যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরীন রোববার বলেন, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির তালিকা আমরা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করেছি। সেটি শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এরপর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমোদন হয়ে আসার পরই ঘোষণা দেয়া হবে।

তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ আমরা সম্পন্ন করেছি। এখন কবে ঘোষণা দেয়া হবে তা নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত।

তবে দুই হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এবার এমপিওভুক্ত করা হবে বলে আভাস দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের বাজেটে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ রয়েছে। এই বরাদ্দ জুন মাসের আগেই খরচের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। না হলে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাবে। সেদিক বিবেচনায় আশা করছি চলতি মাসেই নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, এমপিও হলো মান্থলি পে-অর্ডার বা মাসিক বেতন আদেশ, যার মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ওই প্রতিষ্ঠানের বদলে সরকার পরিশোধ করে।

আমারসংবাদ/জেআই

Link copied!