জবি প্রতিনিধি
জুলাই ২, ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
ইসরায়েলের সম্ভাব্য পরবর্তী টার্গেট পাকিস্তান, এরপর ভারত-ইসরায়েল যৌথভাবে বাংলাদেশে হামলা চালাতে পারে— এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ধরনের হুমকি মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি তরুণ সমাজকে সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে তরুণদের সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা। তাদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ তৈরির বিকল্প নেই।
বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনসোর্টিয়াম (আইআরডিসি) আয়োজিত ‘মধ্যপ্রাচ্য সংকটের আন্তর্জাতিক রাজনীতি: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সেমিনারে মূল বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ও স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্কের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন আনসারী। তিনি বলেন, “বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু এখন মধ্যপ্রাচ্য। এর ভৌগোলিক অবস্থান এই অঞ্চলকে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। বর্তমানে ইরান অনেকাংশে সফল হলেও, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এখানেই শেষ হবে না। এর পরবর্তী ধাপ হতে পারে পাকিস্তান এবং পরে বাংলাদেশ।”
প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ ইশরাক বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে যে বন্ধুরা পাশে ছিল, তারা সবসময় বন্ধু থাকবে—এমনটা ভাবা ঠিক নয়। আপনি অস্ত্র কেনেন কাউকে মারার জন্য নয়, বরং যেন কেউ আপনাকে আক্রমণ না করতে পারে। তাই জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো দরকার, অথচ বাস্তবতা হচ্ছে এই বাজেট দিন দিন কমছে। আমরা আমাদের নেতাদের মুখে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ শব্দটি খুব কমই শুনি। এ বিষয়ে সজাগতা বাড়াতে হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে।”
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইআরডিসির সভাপতি ও জবি ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন। তিনি বলেন, “প্রতিমাসে আমরা নিয়মিতভাবে সেমিনারের আয়োজন করি। তবে গত মাসে ব্যস্ততার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আজকের সেমিনার মূলত গত মাসের নির্ধারিত আয়োজন। জুলাই মাসকে কেন্দ্র করে আরও একটি সেমিনার করার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে আমরা ড. মির্জা গালিবকে অতিথি হিসেবে উপস্থিত করতে চাই।”
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আইআরডিসির সাধারণ সম্পাদক ও জবি’র প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক। সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
ইএইচ