Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪,

জাবি শিক্ষককে অপসারাণসহ ৩ দাবি

জাবি প্রতিনিধি

জাবি প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৮:৩৬ পিএম


জাবি শিক্ষককে অপসারাণসহ ৩ দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির একাধিক ছাত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাকে অপসারণসহ তিন দফা দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে  জাবি শাখা ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায়ের সঞ্চালনায় এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।  এসময়ে তিনি বলেন, "জনির নামে যে স্ক্যান্ডাল, ভ্রুণহত্যার অভিযোগ, একাডেমিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে তা শিক্ষকদের নৈতিক স্খলনের চূড়ান্ত রুপকে প্রকাশ করে। এ ঘটনার তদন্তে একটি পক্ষপাতদুষ্ট কমিটি করা হয়েছে। আজকের সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্ত শিক্ষককে দায়মুক্তি দেয়ার একটি ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা তিনটি দাবি নিয়ে এসেছি। পক্ষপাতদুষ্ট কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে, ভিক্টিমকে জবরদস্তি করে যে দায়মুক্তিপত্র লেখানোর অভিযোগ উঠেছে প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে তার একটি সঠিক তদন্ত করা এবং অনতিবিলম্বে শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করতে হবে।"

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, "আমরা সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছি ভিক্টিম নিজে স্বীকার করেছেন দায়মুক্তি লিখে নেয়ার সময় প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর সেখানে উপস্থিত ছিলেন। যদি প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর জড়িত থাকে তাদেরকে তদন্তের আওতায় আনতে হবে, বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আমরা আশঙ্কা করছি দীর্ঘসূত্রিতা করার জন্যই এই অসময়ে সিন্ডিকেট আহ্বান করা হয়েছে এবং এই এজেন্ডা সিন্ডিকেটে তোলা হবে না। মাহমুদূর রহমান জনির ইস্যুটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।"

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুতর ইস্যুগুলোতে প্রশাসনের কোন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের বক্তব্য নেই, কারণ তারা এসব অন্যায় অপকর্মের সুবিধাভোগী। এই প্রশাসনের সবকিছুতেই আমরা লুকোচুরি দেখতে পাচ্ছি। আজকের সিন্ডিকেট কোথায় হবে কখন হবে সেটি নিয়েও আমরা লুকোচুরি দেখছি এবং সর্বশেষ সে লুকোচুরিটি আমরা দেখতে পাই মাহমুদুর রহমান জনির অভিযোগের বিরুদ্ধে।

তিনি আরও বলেন, "আমরা তদন্তের দাবী জানাই না। যে রেকর্ডিংগুলো প্রকাশ হয়েছে তা অভিযুক্ত জনির বিচার হওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রশাসন চোখে কাঠের চশমা পরে আছে। তারা কোন অপরাধ দেখতে পায় না।"

তাদের উত্থাপিত তিন দফা দাবি হলো- পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে একাধিক শিক্ষক নীতিমালা ভঙ্গের সত্যতা যাচাই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হতে হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে অপসারণ করতে হবে, দায়মুক্তিপত্রে'র ঘটনায় প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের তদন্ত করতে হবে এবং প্রশ্নবিদ্ধ দায়মুক্তিপত্র বাতিল করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ সাপেক্ষে এক মাসের মধ্যে শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতির নীতিমালা তৈরি করতে হবে।

অবস্থান কর্মসূচি শেষে তৃতীয় তলার কাউন্সিল কক্ষে সিন্ডিকেট চলাকালীন শিক্ষার্থীরা নতুন রেজিস্ট্রার ভবনে ওঠে যায় এবং স্লোগান দিতে থাকে। এসময়  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান শিক্ষার্থীদের বলেন, "আজকের সিন্ডিকেটটি অনেকটা বিশেষ সিন্ডিকেটের মত। এখানে শুধু সমাবর্তন বিষয়ক আলোচনা হবে। অন্য কোন এজেন্ডা তোলার সুযোগ নেই।"

এরপর শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

Link copied!