ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

দশ লাখ টাকা বাকি রেখে রোজার আগেই ছাড়তে হলো ডাইনিং

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

মার্চ ২৪, ২০২৩, ০৮:০৮ পিএম

দশ লাখ টাকা বাকি রেখে রোজার আগেই ছাড়তে হলো ডাইনিং

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নি-বীণা হলের ডাইনিং পরিচালনায়  দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে ছিলেন তারা মিয়া। ১০ লাখ টাকা বকেয়া রেখে  নিঃস্ব হয়ে  বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ডাইনিংয়ের সবকিছু গুছিয়ে রেখে বিদায় নেওয়ার সময় খাবারের তালিকা লেখার বোর্ডে লিখে গেছেন ‘আজ থেকে বিদায়’। বকেয়া টাকা ফেরতের আশায় পাশেই লিখে গেছেন নিজের নাম ও মোবাইল নম্বর।  যারা বাকি খেয়েছেন তারা যেন যোগাযোগ করে যেন টাকা পরিশোধ করে দেন।

তারা মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, আমার একমাত্র উপার্জনের উৎস ছিল ডাইনিং পরিচালনা। এটার ওপরই নির্ভর করেই পরিবার চলত। হঠাৎ করে এভাবে চলে যেতে হবে ভাবতে পারিনি। ২০২১ থেকে ২০২২ সালেই  প্রায় ১০ লাখ টাকার খাবার বাকি খেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে প্রায় ছয় লাখ টাকার মতো বকেয়ার হিসাব খাতায় লিখিত রয়েছে। আর বাকি টাকার হিসাব মৌখিকভাবে কিংবা বিভিন্ন প্যাডে লিখে রেখেছি।এর আগে ২০১০ সালেও এক বছর পরিচালনা করেছি। কিন্তু ২০২৩ সালে এসে হঠাৎ করে আমাকে ডাইনিং ছাড়তে বলা হলো। আমার ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা সবমিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো বাকি রয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছে। এই টাকা আমি কীভাবে পাব? বিভিন্ন সময়ে অনেকজন একসঙ্গে এসে খাবার খেত। টাকা চাইলে বলত নেতা দিবে। কিন্তু সেই টাকা আজও পাইনি।

তিনি আরও জানান, ডাইনিং পরিচালনা শুরু করার সময় কোনো চুক্তিপত্র দেওয়া হয়নি। পরে হল অফিসে বারবার চুক্তিপত্র চাইলেও আমাকে দিবে দিবে বলে আর দেয়নি। এখন হঠাৎ করে আমাকে ডাইনিং ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। রাকিব ভাই আমাকে বিদায় দিয়ে দিয়েছে। সেক্রেটারি বলেছে, " আমার থাকার কোনো সুযোগ নেই যেন জিনিসপত্র গুছাই।"

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল হাসান রাকিবের কাছে এই অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে এমন অভিযোগ নাকচ করে বলেন, চুক্তিপত্র ছাড়া সে কীভাবে ডাইনিং পরিচালনা করে। আর চুক্তিপত্র দিবে হল প্রশাসন, আমি দেওয়ার কেউ না। যেহেতু তার চুক্তিপত্রই নেই সেহেতু তার এরকম অভিযোগ দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। এরকম অভিযোগ না করে সামনাসামনি এসে বলুক।

তিনি আরো বলেন, আমরা হল প্রশাসনের সঙ্গে বসে সমাধান করব। হল প্রশাসন যদি তাকে চুক্তিপত্র ছাড়াই থাকতে দেয়। সেক্ষেত্রে এখানে আমরা কে কথা বলার? আর মৌখিকভাবে এত টাকা কীভাবে হয়? সে কার কার কাছে টাকা পায় সামনাসামনি এসে বলুক। আর আমি হলেই থাকি না তাহলে আমি তাকে হল ছাড়তে বাধ্য করব কীভাবে?’

ডাইনিং পরিচালক তারা মিয়ার বিদায়ের ব্যাপারে  অগ্নি-বীণা হলের প্রভোস্ট কল্যাণাংশু নাহা বলেন,  আমার আগের যিনি হল প্রভোস্ট ছিলেন তার সময়ে ডাইনিং পরিচালক নিয়োগ হয়। তার সঙ্গেই চুক্তি হওয়ার কথা। আমার সময়ে হলে আমি দিতাম। যেহেতু আমার সময়ে হয়নি তাহলে আমি তো চুক্তিপত্র দিতে পারি না। আর তারা মিয়া এত দিন ছিল বলে আমি তাকে থাকতে দিয়েছি। আমার কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু তার অনেক টাকা বাকি পড়ার কারণে তিনি থাকতে পারছেন না। হল প্রশাসন রাখতে চাইলেও বাস্তবতার নিরিখে তিনি থাকতে পারেননি। এক্ষেত্রে আমরা কিছু করতে পারব না। নতুন যারা এসেছে তারা কাগজে-কলমে লিখিত ডকুমেন্ট পাবেন।

আরএস
 

Link copied!