Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়রানি, নিপীড়নের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসি’র

মো. মাসুম বিল্লাহ

আগস্ট ২৯, ২০২৩, ০৬:০৮ পিএম


বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়রানি, নিপীড়নের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসি’র

দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী কোন ধরনের হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হলে অভিযোগ দ্রুত আমলে নেওয়া এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান কোন স্থানে স্বচ্ছ অভিযোগ বাক্স স্থাপন এবং অভিযোগ পড়ছে কিনা সেটি নিয়মিত তদারকি করতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। তিনি অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা ও ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা কর্মপরিকল্পনার বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও ফিডব্যাক প্রদান সংক্রান্ত একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ইউজিসিতে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান- এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের উপপরিচালক ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মল্লিক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে এটি দ্রুততার সাথে আমলে নিতে হবে। অভিযোগকারীর গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এর বিষয়বস্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নস্থানে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

প্রফেসর আলমগীর বলেন, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিয়ে অভিযোগ করলে  তার প্রতিকার পেতে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। অনেকক্ষেত্রে কার্যকর প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না দেখে অনেকেই অভিযোগ করতে উৎসাহিত হন না বলে তিনি মনে করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সবার জন্য একটি উন্মুক্ত পরিবেশ, তাই এখানে সব কিছু স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। নারীর প্রতি কোন বৈষম্য, নিপীড়ন ও হয়রানি করা যাবে না বলে অভিমত প্রকাশ করেন।

প্রফেসর আবু তাহের বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিচালনা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

ড. ফেরদৌস জামান বলেন, উচ্চশিক্ষাস্তরে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও চাকরিক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে রয়েছে। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য কমানো এবং পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা পরিহার করতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যথার্থ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে কর্তপক্ষকে উদ্যোগী হতে হবে।

ইউজিসি’র উপ-পরিচালক ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল পয়েন্ট মৌলি আজাদের উপস্থাপনায় কর্মশালায় ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল ও বিকল্প ফোকাল পয়েন্টগণ অংশগ্রহণ করেন।

এইচআর

Link copied!