Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪,

এইচএসসিতে ময়মনসিংহ বোর্ডে সেরা শেরপুর

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর প্রতিনিধি

নভেম্বর ২৯, ২০২৩, ০৫:০১ পিএম


এইচএসসিতে ময়মনসিংহ বোর্ডে সেরা শেরপুর

সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি ফলাপলে পাশের হারে শীর্ষে অবস্থান করছে শেরপুর জেলা এবং প্রতিষ্ঠানভিত্তিক পাশের হারে  বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান কলেজ। জিপিএ-৫ এ শীর্ষে শেরপুর সরকারি কলেজ।

চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় শেরপুরে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ মিলে পাশ করেছে ৭২.৭৪ ভাগ পরীক্ষার্থী, যা ময়মনসিংহ বিভাগের শীর্ষে। জেলায় পাশের হারে শীর্ষে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান মডেল কলেজ। এ কলেজে পাশের হার ৯৮.০১ ভাগ। আর জিপিএ-৫ এ শীর্ষে রয়েছে শেরপুর সরকারি কলেজ। কেবল ওই কলেজ থেকেই জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৭ জন। আর জেলায় সব মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮১ জন।

অন্যদিকে জেলায় একমাত্র শতভাগ পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে শহীদ আব্দুর রশীদ কমার্স কলেজে। এ কলেজের ৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউই পাশ করতে পারেনি। তবে জেলার ৪টি মাদ্রাসায় শতভাগ পাশের সাফল্য অর্জন করেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, শেরপুরের মোট ২৮টি কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ৮ হাজার ৬৩৮ জন শিক্ষার্থী। তন্মধ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা মিলে পাস করেছে ৬ হাজার ২৮৩ জন। আর অকৃতকার্য হয়েছে ২ হাজার ৩৫৫ জন পরীক্ষার্থী। এতে জেলায় পাশের হারে শীর্ষে রয়েছে সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান মডেল কলেজ। এ কলেজ থেকে ৩৫১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩৪৪জন, পাশের হার ৯৮.০১ ভাগ। ৯৪.৪৪ ভাগ পাশের হার নিয়ে জেলায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঝিনাইগাতী মহিলা আদর্শ কলেজ। এ কলেজ থেকে ১৬২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৫৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। আর ৭৯.১৩ ভাগ পাশের হারে তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও জিপিএ-৫ এ শীর্ষে রয়েছে শেরপুর সরকারি কলেজ। এ কলেজ থেকে ১ হাজার ৫৬২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১ হাজার ২৩৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৭ জন।

এদিকে মাদ্রাসায় বিভাগে শেরপুর থেকে ৯০০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৮০৫ জন। পাশের হার ৮৯.৪৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯ জন। জেলার ৪টি মাদ্রাসা শতভাগ পাশের সাফল্য অর্জন করেছে। এগুলো হচ্ছে বিবিরচর রহমানিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, পাঁচকাহনীয়া আলিম মাদ্রাসা, ধুকুরিয়া আলিম মাদ্রাসা ও নন্নী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা।

অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে শেরপুর থেকে ৩ হাজার ৭৩৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩ হাজার ৩৬৭ জন। পাশের হার ৯০.১৫ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৬ জন।

এআরএস

Link copied!