Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪,

বশেমুরবিপ্রবির ৫শিক্ষার্থীর বহিষ্কার পূর্ণবহাল

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা

জানুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০৫:৩৫ পিএম


বশেমুরবিপ্রবির ৫শিক্ষার্থীর বহিষ্কার পূর্ণবহাল

আত্মপক্ষ সমর্থন সন্তোষজনক না হওয়ায় গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ৫শিক্ষার্থীকে পূর্ব-বহিষ্কারাদেশ পূর্ণবহাল রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে দুই শিক্ষার্থীকে আজীবন এবং তিন শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কারাদেশ করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

আজীবন বহিস্কৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন- ফার্মেসি বিভাগ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রনি মৃধা এবং ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল আহম্মেদ সাকিব। অন্যদিকে, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম সাগর, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু হেনা শেখ এবং রাতুল হাসান রুমনকে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে।

রেজিস্ট্রার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্তের পর অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। তাই আমরা তাদেরকে সাত কর্মদিবসে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু তাদের জবাবে আমরা সন্তোষজনক হইনি। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিধি মোতাবেক আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি।

বহিষ্কারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. একিউএম মাহবুব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও  আইনেন প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে এমন জঘন্য ঘটনা ঘটনোর জন্য শিক্ষার্থীদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ বনাম ফিসারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলাকে কেন্দ্র করে ফার্মেসি বিভাগ ও ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। খেলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনায় ১১ নভেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে গিয়ে ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রনি মৃধা ও তার সহযোগীরা মো. সাজ্জাদ হোসেন নামে এফএমবি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত এবং মারধর করার অভিযোগ উঠে।

এ ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে সাজ্জাদ ওইদিন রাতে আমরণ অনশনে বসে। পরে প্রক্টোরিয়াল বডি ও শেখ রাসেল হলের প্রভোস্টের আশ্বাসে সাজ্জাদ অনশন ভাঙ্গে। এ ঘটনায় ৬ নভেম্বর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. হাসিবুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। গত মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বুধবার শৃঙ্খলা কমিটির সভা করা হয়। সভায় ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত দুই শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তিন শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এইচআর

Link copied!