ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

ঢাবিতে ভাষা আন্দোলনের মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার দাবি প্রধান বিচারপতির

ঢাবি প্রতিনিধি:

ঢাবি প্রতিনিধি:

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৮:৫০ পিএম

ঢাবিতে ভাষা আন্দোলনের মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার দাবি প্রধান বিচারপতির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি মিউজিয়াম (জাদুঘর) প্রতিষ্ঠার দাবি জানালেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা অ্যাকাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‍‍` সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার ও ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান‍‍` শীর্ষক একটি, আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই দাবি জানান।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস , ভাষা আন্দোলনের মাস। ভাষা আন্দোলনের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্পর্ক ১৯৪৭ সালে দেশ  ভাগের পর থেকে। ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই তিনি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। সেদিন আজকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ‘অক্টোবর স্মৃতি ভবন’ যেখানে অবস্থিত, সে ভবনে প্রাদেশিক পরিষদের সংসদ বসেছিল। ভাষা আন্দোলনের দিন ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল করার কারণে প্রথম যে ১০ জন গ্রেফতার হয়েছিলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান তাদেরই একজন ছিলেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাষা আন্দোলনের মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বলেন, এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত আছেন। আমি যদি কোন ভুল না করি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা আন্দোলনের কোন মিউজিয়াম নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি রক্ষার্থে একটা মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হোক , যেখানে ভাষা আন্দোলনের ছবি এবং ইতিহাস সবকিছুই থাকবে।

সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীতে সাড়ে সাত হাজার ভাষার মধ্যে প্রায় অর্ধেক বিলুপ্ত। বাংলা পৃথিবীর ৭ম ভাষা হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশে এখনো একটা ভাষা আছে,যে ভাষায় মাত্র ২ জন নারী কথা বলেন।১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন।গবেষণার মধ্য দিয়েই সারাদেশে সর্বস্তরে একদিন  বাংলা ভাষা চালু সম্ভব।

বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এবং শারমিন নিপার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি  ওবায়দুল হাসান আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথি হিসেবে  বক্তব্য রাখেন। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক,আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর এ এস এম মাকসুদ কামাল, মৌলভীবাজার -৩ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুর রহমান।

আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম বলেন, বিয়ের কার্ড ইংরেজি ভাষায় লিখতে না পারলে আমরা হীনমন্যতায় ভুগি।এটা সংস্কৃতির অবক্ষয়। আমাদের ইদানীং দিবস ভিত্তিক বাঙালি হওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বাঙালি জাতীয়তাবাদের উপর আঘাত হানা হয়েছিল। আমাদের মানসিকতার সংকটের কারণে উচ্চ আদালতে আমরা বাংলা ভাষা চালু করতে পারছি না।

আমাদের শিকড় আরো গভীরে প্রোথিত করতে হবে। আত্মপরিচয়ের সংকট দূর করতে পারলে ভাষার সংকট দূর হবে। সাহিত্য এবং সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ৫৬ ভাগ বাংলা ভাষাভাষী মানুষের দাবী কে উপেক্ষা করে জিন্নাহ উর্দু কে রাষ্ট্র ভাষা করতে চেয়েছিলেন। তখনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন ইংরেজ শোষকের পরিবর্তে পাঞ্জাবি শোষকের কাছে আমরা জিম্মি। 

১৯৫২ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারি আজকের জগন্নাথ হলে প্রাদেশিক পরিষদের বাজেট অধিবেশন ছিল। তাই সেদিন কে ভাষা আন্দোলনের দিন হিসেবে নেওয়া হয়েছিল। বদরুদ্দীন উমরের মতো জ্ঞান পাপীরা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনের ‘কেউই’ ছিলেন না!

১৯৬৬ সাল পর্যন্ত রাস্তায় বিলবোর্ডে বাংলা ভাষার কোন শব্দ ছিল না।বাংলা ভাষার আন্দোলন বাস্তবায়ন করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমরা পৃথিবীর একমাত্র জাতি,যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি। বাংলা ভাষা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত এবং হীনমন্যতায় ভুগি। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু হওয়া উচিত।

তিনি আরো বলেন,"পাকিস্তানেও আজকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপিত হয়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু এবং বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান"।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, একদিকে অ্যাকাডেমিক পর্যায়ে এবং অন্যদিকে প্রশাসনিক ও বিচারিক পর্যায়ে বাংলা ভাষার ব্যবহার সম্ভব।

বহুল আলোচিত পঞ্চদশ সংশোধনীর মামলার রায় (আপিল বিভাগে) তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বাংলা ভাষায়  লিখে প্রমাণ করেছিলেন বাংলা ভাষায় ‍‍`রায় লেখা‍‍` সম্ভব।মায়ের দুধের সাথে মায়ের ভাষার তুলনা করা হয়। ভাষা কে বুঝতে পারা এবং হৃদয়ঙ্গম করতে পারা মায়ের ভাষায় সম্ভব।

রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সম্পর্কে তিনি বলেন, রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের অংশ। রাষ্ট্র ভাষার দাবিতে   বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতার, তাঁর রাজনৈতিক জীবনে প্রথম গ্রেফতার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ভাষা কে রাষ্ট্রের সব কাজের বাহন করতে চেয়েছিলেন। তিনি ভাষার ঐক্য কে রাষ্ট্র আন্দোলনের ঐক্যে পরিণত করেছিলেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। অতিথিরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। আলোচনা সভা শেষে  প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সহ অতিথিরা বাংলা একাডেমিতে অমর একুশে বইমেলায় ‘সুপ্রিম কোর্ট’ স্টল পরিদর্শন করেন।

বিআরইউ

Link copied!