Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৪,

জাবি ছাত্র ইউনিয়নের দু’নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি রাবি’র

রাবি প্রতিনিধি:

রাবি প্রতিনিধি:

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম


জাবি ছাত্র ইউনিয়নের দু’নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি রাবি’র

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সাতটি ছাত্রসংগঠন।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে  বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান তাঁরা।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের দেয়ালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়ালচিত্র মুছে ধর্ষণবিরোধী দেয়ালচিত্র আঁকার অভিযোগে শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।

মানববন্ধনে নেতা-কর্মীরা ‘অমর্ত্য-ঋদ্ধ বহিষ্কার কেন?’ ‘নীতিবহির্ভূত বহিষ্কারাদেশ বাতিল কর’,  ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত কর’, ‘আজ্ঞাবহ প্রশাসন চাই না’, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

এসময় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রমাগত মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে। বিপরীতে দলীয় আনুগত্য করার স্বাধীনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা এ ধরনের স্বাধীনতা চাই না। আমরা চাই সাম্যের স্বাধীনতা। শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধ করলে এটা বিস্ফোরণে পরিণত হবে।’

মানববন্ধনে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বায়ক মেহেদী হাসান বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি পরিমাণ আজ্ঞাবহ হলে তড়িৎ গতিতে কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দুইজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়াল লিখন একদল লিখে, অন্য দল সেটা মুছে আবার নতুন করে আঁকে। এটাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রাজনৈতিক সংস্কৃতি। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা ‘কাল্টে’ পরিণত করেছে। এবং এই ‘কাল্ট’ মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে, যাতে কেউ কথা না বলতে পারে। কণ্ঠ রোধ করার জন্য যে ব্যবস্থা, এই রাষ্ট্র, এই বিশ্ববিদ্যালয় তা করে রেখেছে। দেয়াল লিখন বাকস্বাধীনতার অংশ কিন্তু জাবি প্রশাসন সেই স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। এ থেকে মুক্তি পেতে আমাদের সকলকে কথা বলতে হবে।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান দোষে গুণে মানুষ। তাঁর মহত্ত্বের দিকগুলো আমরা স্বীকার করি। কিন্তু তাঁর যদি সমালোচনার কিছু দিক থাকে, সেই সমালোচনা করার অধিকার আমাদের আছে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে তাঁকে ঈশ্বরের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তাঁর কোনো সমালোচনা করা যাবে না। যার মাধ্যমে দেশে একটি ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে। মানুষের প্রতিবাদ করার যে মেরুদণ্ড, তা ভেঙে দেয়া হচ্ছে। চার বছর আগের মুজিব শতবর্ষের গ্রাফিতি মুছে নতুন করে ধর্ষণের প্রতিবাদে গ্রাফিতি আঁকায় জাবির দুইজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ছাত্র ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক জান্নাতুল নাইম। এছাড়া এসময় শাখা বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, ছাত্র যুব গণমঞ্চ, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  বিআরইউ

Link copied!