ববি প্রতিনিধি
মে ৩, ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
ববি প্রতিনিধি
মে ৩, ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমির (২০১৯-২০ সেশন) চিকিৎসায় প্রশাসনের অবহেলার অভিযোগ তুলে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা এসব দাবি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো— ১. জিমির আবেদনের বিষয়ে প্রশাসনের অবহেলার দায় স্বীকার করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য উপাচার্যকে সকল শিক্ষার্থীর সামনে (গ্রাউন্ড ফ্লোরে) প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকারপত্র প্রকাশ করতে হবে।
২. উপাচার্য যেন কর্মদিবসে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী নিজ দপ্তরে উপস্থিত থাকেন—অনুপস্থিত থাকলে একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।
৩. আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত আবেদন ৩ কর্মদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। অনুমোদিত হলে বা বাতিল হলে আবেদনকারীদের তা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে এবং এই দায়িত্ব পালনের জন্য একজন নির্দিষ্ট কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
৪. আর্থিক সহায়তা তহবিল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে—নির্ধারিত সময় অন্তর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এর বিস্তারিত হিসাব প্রকাশ করতে হবে।
৫. শিক্ষার্থীরা যেন জরুরি প্রয়োজনে উপাচার্যের সঙ্গে সহজে সাক্ষাৎ করতে পারেন এবং এ ক্ষেত্রে যেন কোনো প্রকার ভোগান্তিতে না পড়েন, সে জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, দাবিগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করছেন তারা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি উপেক্ষিত হলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২ মে) পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জেবুন্নেছা হক জিমি। তার সহপাঠীরা জানান, চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তার জন্য পাঁচ মাসে তিনবার উপাচার্যের দপ্তরে আবেদন করা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ইএইচ