আবদুল্লাহ আল মামুন, জবি
মে ২৯, ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম
আবদুল্লাহ আল মামুন, জবি
মে ২৯, ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার চোখে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারা বেগমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এর আগে আনোয়ারা বেগমকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক এ কে এম হাসান মাহমুদুল কবীর তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষে আইনজীবী ওবায়দুল ইসলাম জামিনের আবেদন করেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিপরীত পাশে স্টার হোটেলের সামনে ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে ছাত্রদলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা চোখে গুলিবিদ্ধ হন এবং দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পরে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সুজন মোল্লা বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের ৯৪ জনসহ মোট ১৯৩ জনকে আসামি করা হয়। আনোয়ারা বেগম এ মামলার ৪৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
জানা গেছে, বুধবার আনোয়ারা বেগমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আপগ্রেডেশন বোর্ডের একটি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মেজবাহ উল আজম সওদাগর বলেন, “আপগ্রেডেশন বোর্ডের সদস্য (নমিনি) নির্ধারণ করেন রাষ্ট্রপতি। তাকে বাদ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হলেও এখনও অনুমোদন আসেনি। বিভাগ থেকে তাকে ডাকা হয়নি; বরং রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।”
মামলার বাদী সুজন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, “এমন দলকানা শিক্ষকদের কারণেই স্বৈরাচারী আমলে শিক্ষক সমাজ কলঙ্কিত হয়েছে। তিনি (আনোয়ারা বেগম) বলতেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যারা কাজ করে তারা রাজাকার। ছাত্রদল ও শিবির যেহেতু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাই তারা রাজাকার। পিএসসি সদস্য থাকার সময়ও তিনি ছাত্রলীগ ছাড়া কাউকে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করতেন না।”
ইএইচ