আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মে ২৬, ২০২৫, ১১:১২ এএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মে ২৬, ২০২৫, ১১:১২ এএম
ইসরায়েলি বাহিনী আবারও অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে।
সোমবার এক স্কুলে চালানো বোমা হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আল জাজিরার বরাত দিয়ে জানা গেছে, হামলার শিকার স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল, যেখানে বহু বেসামরিক মানুষ—নারী ও শিশু—আশ্রয় নিয়েছিলেন।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুজন আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কর্মী, একজন সাংবাদিক এবং অন্তত কয়েকজন শিশু। নিহতদের একজন মাত্র ১১ বছর বয়সী গাজার কনিষ্ঠতম সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ইয়াকিন হাম্মাদ। এই শিশুটি গাজার বাস্তবতা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল।
এছাড়া পৃথক হামলায় নিহত হয়েছেন গাজার চিকিৎসক ডা. আলা আমির আল-নাজ্জারের ১০ সন্তানের মধ্যে ৯ জনই। তার একমাত্র জীবিত সন্তান, ১১ বছর বয়সী আদম, বর্তমানে আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।
এদিকে ইসরায়েলের টানা বোমাবর্ষণ এবং স্থল অভিযানে গত এক সপ্তাহেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৬০০ জন ফিলিস্তিনি। দেইর আল-বালাহ শহরের এক আশ্রয়কেন্দ্রে হামলায় এক মা ও তার সন্তানরা নিহত হন। খান ইউনিসের বানি সুহেইলায় ড্রোন হামলায় আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আরেক হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুই নারী ও এক শিশু।
এই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজায় ৭০ হাজারেরও বেশি শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে এবং হাজার হাজার শিশু বর্তমানে মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রোববার চার বছর বয়সী মোহাম্মদ ইয়াসিন অনাহারে মারা গেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে স্পেনের মাদ্রিদে ইউরোপ ও আরব বিশ্বের ২০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে স্পেন আহ্বান জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল—ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন গড়ে তোলা।
ইসরায়েলের এই লাগাতার আগ্রাসন ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ বাড়ছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনার দাবি জানাচ্ছে।
ইএইচ