Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৪,

যেসব চা কমাবে পেটের মেদ

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া

অক্টোবর ৫, ২০২২, ০৬:৩৬ পিএম


যেসব চা  কমাবে পেটের মেদ

রাতারাতি ভুঁড়ি কমানোর কোনো প্রক্রিয়া নেই। এই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। স্বাস্থ্যকর উপায়ে পেটের মেদ কমানোর আছে কিছু উপায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন এক কাপ চা পান করা স্বাস্থ্যকর। সেইসঙ্গে সুষম খাদ্য এবং শরীরচর্চা মিলে পেটের মেদ কমানোর প্রক্রিয়াকে দ্রুত করতে পারে।

গ্রিন টি এবং অন্যান্য ধরনের চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে, মেদ কমায়, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে। এই পানীয় শান্ত প্রভাবের কারণে ‘প্রকৃতির ট্রানকুইলাইজার’ হিসেবে খ্যাত। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, চায়ের মধ্যে থাকা কিছু রাসায়নিক পদার্থ শরীরের চর্বি দূর করতে পারে। জেনে নিন এমন ৪ ধরনের চা সম্পর্কে-

 

ব্ল্যাক টি

উপকারী চায়ের মধ্যে উপরের দিকেই রয়েছে ব্ল্যাক টি-এর নাম। প্রতিদিন এক কাপ ব্ল্যাক টি পান করলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এটি রক্ত ​​প্রবাহ ও রক্তনালীর প্রসারণে উন্নতি করে হার্টকে সুস্থ রাখে। তবে ব্ল্যাক টি-এর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে পান করলে উপকারগুলো তেমনভাবে পাওয়া যায় না। তাই স্বাদ কম লাগলেও দুধ ছাড়া চা খেতে শুরু করুন।


হোয়াইট টি

এই চা কেবল নতুন চর্বি কোষ গঠনেই বাধা দেয় না, সেইসঙ্গে এটি শক্তি উৎপাদন করার কাজে নিঃসৃত চর্বি ব্যবহার করতে সহায়তা করে। এই চা ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে যা বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। ফলে হোয়াইট টি পান করলে চেহারায় সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। নিয়মিত পান করার ফলে পেটের মেদ থাকে নিয়ন্ত্রণে।

ওলং চা

ওলং চা হলো চাইনিজ এক ধরনের ভেষজ চা। এই চা ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, নিয়মিত ওলং চা খেলে তা আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি শরীরের ক্ষুধা নিবারণের মাধ্যমে স্থূলতার চিকিৎসায়ও সাহায্য করে। তাই পেটের মেদ কমাতে চাইলে ওলং চা খেতে পারেন।

অশ্বগন্ধা চা

অশ্বগন্ধা চা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আয়ুর্বেদিক ভেষজ তৈরি। এই চা মানসিক চাপ, উদ্বেগ উপশম করতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং শরীরে প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। যারা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এই চা রাতে ভালো ঘুম পেতে সাহায্য করে। এমনটাই জানিয়েছেন শালবি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান নেহা ভাটিয়া।

টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে

আমার সংবাদ/আরইউ

Link copied!