ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

বৃষ্টির আশায় ৫০০ লোকের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়ে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

জুলাই ১৬, ২০২২, ০৩:০২ পিএম

বৃষ্টির আশায় ৫০০ লোকের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়ে

দিনাজপুরে মৃদু দাবদাহে বৃষ্টির আশায় মহা ধুমধামে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। শহরের রাজবাড়ীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন পাঁচ শতাধিক অতিথি। সেখানে নেচে-গেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান উদযাপন করেন তারা। বরের নাম ভানু আর কনে মতি। দুজনে মিলে ভানুমতি। ভানুমতির গায়ে জড়ানো মেরুন কাপড়।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত রাজবাড়ি চত্বরের হিরা বাগান রক্ষাকালী মন্দিরে সনাতন ধর্মের দেশাচার (হিন্দু) নিয়মে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ছায়ামন্ড, পুষ্পমাল্য, গায়ে হলুদ, আশীর্বাদের ধান-দূর্বা, খাওয়ার আয়োজনসহ সব ব্যবস্থাই ছিল এ বিয়েতে।

আয়োজকরা জানান, শুক্রবার ছিল আষাঢ় মাসের শেষ দিন। কিন্তু বৃষ্টি নেই। জমিতে পানি নেই। আমন চারা রোপণ করা যাচ্ছেনা।

আবার যে জমিগুলোতে চারা রোপণ করা হয়েছে, সে জমিগুলো পানির অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। অনেকে শ্যালো মেশিন দিয়ে ক্ষেতে পানি দিচ্ছেন। এ কারণে যাতে বৃষ্টি আসে সে জন্য ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মানুষ বিয়ের অনুষ্ঠানে আসতে থাকে। কলা গাছ ও ফুল দিয়ে সাজানো বিয়ের ছায়া মন্ডপে রাত আটটার দিকে বর ভানু সরকারকে নিয়ে বরের মা সুমনা সরকার ও কনে মতিকে নিয়ে কনের মা আল্পনা মহন্ত অনুষ্ঠানে হাজির হন।

রঙ- কাদা মেখে শুরু হয় নাচ-গান। পাশেই চলে বড় বড় ডেকে রান্না। উপস্থিত অতিথিরা বর কনেকে দেখে উপহার দিয়ে খিচুড়ি খেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

১০১ টাকা প্রতীকী পণে বিয়ে পড়ান হিরা বাগান রক্ষাকালী মন্দিরে পুরোহিত নারায়ন চন্দ্র ঝাঁ। তিনি এ সময় বলেন, অনাবৃষ্টি ও খরা থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে শিশুরা এ ব্যাঙের বিয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও পরে সেটি উৎসবে রূপ নেয়। 

বরের মা সুমনা সরকার বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে আমাদের সম্প্রদায়ে এই রীতি দেখে আসছি। প্রতি বছর যখন অনাবৃষ্টি দেখা দেয়, তখন এই এলাকার সব বাসিন্দা দুটি ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেন। আমরা ব্যাঙের বিয়ের পরপরই বৃষ্টির দেখা পাই। এবারও বৃষ্টির দেখা পাব আশা করি।

কনের মা আল্পনা মহন্ত বলেন, এই রীতি শতবর্ষ আগে থেকেই চলে আসছে। হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ রামায়ণের দেশাচারে বর্ণিত বৃষ্টির দেবতাকে খুশি করার জন্য সেই সময় থেকে ব্যাঙের বিয়ের প্রচলন হয়।

বিয়ের বাজনা, সাদনা তলায় পুরোহিতের মন্ত্রপাঠ, সাতপাকে বাঁধা, মালাবদল, সিঁদুরদান সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রীতি অনুযায়ী সব আয়োজনের মধ্যে হলো এ ব্যাঙের বিয়ে।


আমারসংবাদ/টিএইচ

Link copied!