আগস্ট ২৭, ২০২২, ০৮:০৮ পিএম
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বাড়ছেই। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে স্বাভাবিকভাবেই সন্ত্রাসবাদের উত্থান হবে। খুন, ধর্ষণ, মাদক পাচার, শিশু পাচার, ডাকাতি, অপহরণ, পতিতাবৃত্তিসহ সব ভয়ংকর অপরাধে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে রোহিঙ্গারা। নিজেদের মধ্যে হানাহানি-খুনোখুনিও প্রায় নৈমিত্তিক ঘটনা। বাংলাদেশ সাপোটার্স ফোরামের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা সংকট এর ৫ বছর ও উত্তরনের গতকাল শনিবার ডিআরইউ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জাতীয় সংগ্রাম কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাপোর্টার্স ফোরামের মহিলা সম্পাদিকা মিসেস শাহানা হক, বিচারপ্রতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী আলহাজ এম নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী, কৃষিবিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসার ড. কামাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার আলহাজ¦ জাকির আহামদ, সাবেক ডিআইজি বীরমুক্তিযোদ্ধা কবি মোঃ আনোয়ার হোসেন।
মুলপ্রবন্ধে এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত, চীন, রাশিয়ারও উদ্যোগ নেই বললেই চলে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বাড়ছেই। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে স্বাভাবিকভাবেই সন্ত্রাসবাদের উত্থান হবে। খুন, ধর্ষণ, মাদক পাচার, শিশু পাচার, ডাকাতি, অপহরণ, পতিতাবৃত্তিসহ সব ভয়ংকর অপরাধে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেড় লাখের বেশি শিশুর জন্ম হয়েছে । রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ৫ বছরে প্রতিটি পরিবারে যুক্ত হয়েছে নতুন করে ২ থেকে ৩ সদস্য। এ সময়ের মধ্যে ক্যাম্পে নতুন করে জন্ম নিয়েছে দেড় লাখের বেশি শিশু। লাখ লাখ রোহিঙ্গার কারণে দিন দিন নানামুখী সংকটে বাংলাদেশ । সকলের হাতে হাতে বাংলাদেশী মোবাইল সীম, লক্ষাধীক রোহিঙ্গা এনআইডি ও পাসপোর্ট এর আধিকারী এক ভয়াবহ অশনি সংকেত ।
এসময় বক্তারা বলেন, বিশ্বে কোভিট ১৯ আক্রান্ত শতাধিকদেশ মহামারীতে পড়লেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এর কোন প্রভাব পড়েনি। কেউ মারা যায়নি। কিন্তু বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৮ শতাধিক রোহিঙ্গা মরনব্যাধী এইডস আক্রান্ত। যা অত্যান্ত বিপদজনক। তারা আরও বলেণ, যেমন রেহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্ধকৃত ত্রানের অর্থের ৩০% স্থানীয়দের জন্য বরাদ্ধ দিয়ে যাচ্ছে বলে যে প্রতারনা কওে যাচ্ছে তা আত্যান্ত দুঃখজনক। এনজিও এবং আইএনজিওতে গণহারে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিয়োগ দিলেও স্থানীয়দের প্রতিনিয়ত চাকুরি হতে ছাটাই করে যাচ্ছে। আপনাদের মাধমে সরকার ও বিশ^বাসীর কাছে জানাতে চাই প্রত্যেক মানব সন্তানের, তার মাতৃভুমিতে স্বাধীনভাবে বসবাস করার মৌলিক অধিকার রয়েছে ।
রোহিঙ্গাদেরকে আরাকানে ফিরিয়ে নিতে হবে, জাতিসংঘ ও আইসি সহ বিশ^বাসীকে কঠোরভাবে এগিয়ে আসতে হবে । আথবা বিশ^শান্তিরক্ষী বাহিনিীর তত্বাবধানে মায়ানমারের বিশাল ভু খন্ডের যেকোন প্রান্তে তাদের জন্য র্নিধারিত ক্যাম্প করে এ দেশ হতে তাদের দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে । তা না হলে এ দেশের স্বাধিনতা স্বার্ভভৌমত্ব হয়তো একদিন হুমকির সম্মখিন হবে, ধ্বংস হবে পর্যটন,পরিবেশ, যুব সমাজ ।
এবি