Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪,

জ্বর-সর্দি হলে ভরসা রাখুন কয়েকটি পাতাতেই

মো. মাসুম বিল্লাহ

ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩, ০৬:১৫ পিএম


জ্বর-সর্দি হলে ভরসা রাখুন কয়েকটি পাতাতেই

দিনে গরম, রাতে ঠান্ডা আবহাওয়া। ঘুমের জন্য সহায়ক পরিবেশ হলেও তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনের ফলে সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো সমস্যা বাড়ে। কারণ, আবহাওয়ার এই আচরণের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। আর এই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত ছোট থেকে বড় সকলেই। ভাইরাস জ্বর হাঁচি, কাশি আর শ্বাসের মাধ্যমে একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে ভাইরাস ছড়ায়। আর এই জ্বরের কারণে গলাব্যথা, সর্দি, কাশি, হালকা জ্বর থেকে শুরু করে একাধিক উপসর্গ থাকে।

জ্বর হলে অধিকাংশই প্রথমে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে নেন। তবে সব সময় এই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন পড়ে না। এতে শরীরে নানা রকম প্রভাব পড়ে। আর তাই সবথেকে ভালো যদি ঘরোয়া উপায়ে প্রথমে সেরে ওঠা যায়। জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। বিশ্রাম নিতে হবে। হালকা সহজপাচ্য খাবারের পাশাপাশি ভরসা রাখুন এই কয়েকটি পাতাতেও।

তুলসি পাতা- তুলসই পাতা খুবই উপকারী একটি ভেষজ। তুলসি পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিকের গুণ। থাকে ইউজেনল, সিট্রোনেলল, লিনালুলের মত একাধিক উপাদান। তুলসি পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক আর অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যই সর্দি, কাশি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন চায়ের পানিতে তুলসি পাতা দিয়ে খান। তফাৎটা নিজের চোখেই দেখতে পাবেন।

অরিগ্যানো- অরিগ্যানো পাতাটার সঙ্গে পাস্তা, পিৎজা যারা পছন্দ করেন তারা বেশি পরিচিত। কারণ এ খাবারগুলোতে ব্যবহার করা হয় অরিগ্যানো। অরিগ্যানো খুবই শক্তিশালী একটি ভেষজ। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য। যা সর্দি, কাশি কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদ আর অরিগ্যানো পাতা একসঙ্গে সিদ্ধ করে খাবেন। জ্বর, সর্দি-কাশি কমাতে দিনের মধ্যে দুবার খেতে হবে।

ধনেপাতা- শীতের সময় বাজারে ধনেপাতার কমতি নেই। সহজেই এই পাতা সংগ্রহ করা যায়। ধনেপাতার মধ্যে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ধনে পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক যৌগ যা ভাইরাস সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি আর জ্বরের সমস্যায় প্রথমেই একটি পাত্রে একগ্লাস পানি নিয়ে তার মধ্যে কিছু ধনেপাতা দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার দিনের মধ্যে অন্তত কয়েকবার এই পানি ছেঁকে নিয়ে খান। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়বে। জ্বর-সর্দির থেকে পাবেন ছুটি।

তবে জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ বেড়ে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

এবি

Link copied!