Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

পুলিশ আজ জনগণের বন্ধু: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মো. মাসুম বিল্লাহ

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৮:৫৩ পিএম


পুলিশ আজ জনগণের বন্ধু: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আহ্বান করেছিলেন, বাংলাদেশের পুলিশকে জনগণের পুলিশ হওয়ার জন্য। আজ পুলিশ সেই জায়গায় এসেছে। জনগণের আস্থার জায়গা, বিশ্বাসের জায়গাটাতে পুলিশ আসছে। পুলিশ আজ জনগণের বন্ধু।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বীরত্বের সঙ্গে কাজ করছে বলেই দুর্বার গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘২০১৪-১৫ আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করার দৃশ্য আপনারা দেখেছেন। জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দৃশ্য দেখেছেন। তখন পুলিশ কাজ করেছে। অনেক পুলিশ সদস্য শাহাদাত বরণ করেছেন সব আন্দোলন ও সংকটে পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতা ও বীরত্বের সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ কারণেই আজ বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৮ বছরে পদার্পণ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গি উত্থানের কারণে আমরা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলাম। হোম গ্রোন (দেশীয়) টেরোরিস্ট এবং আন্তর্জাতিক টেরোরিস্টের যোগসাজশে জঙ্গিবাদ বিস্তারে যখন অপচেষ্টা হয়েছিল, তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ডিএমপিতে সিটিটিটিসি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সিটিটিসি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জঙ্গি দমন করতে পেরেছিলেন।’

বঙ্গবন্ধু ডিএমপি তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার প্রচেষ্টায়ই ডিএমপির যাত্রা শুরু হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ ডিএমপি ৪৮ বছরে পদার্পণ করেছে। ৫০টি থানাসহ ডিএমপিতে আরও বিভিন্ন ইউনিট রয়েছে, যারা সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি। এর পেছনের শক্তিটা হলো- শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারছি বলেই এগিয়ে যাচ্ছি। পুলিশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় মুখ্য ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। ঢাকায় দুই কোটি মানুষের বাস। এখানে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা সহজ কথা নয়। কিন্তু ডিএমপি ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘ডিএমপির ৫০ থানায় এখন ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। নগরবাসীর সঙ্গে ডিএমপির সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখাই হবে মূল লক্ষ্য। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আগুন সন্ত্রাস, হলি আর্টিসানে জঙ্গি আক্রমণ দমনে ডিএমপির ভূমিকা বাংলাদেশের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানের দক্ষতা অর্জনে ডিএমপি ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘বর্তমানে ডিএমপির সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ভবিষ্যতে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালালে জনগণের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম মেগাসিটি, বৈচিত্র্যময় মহানগরী ঢাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখা, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়ন প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও বিনিয়োগবান্ধব স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে টিম ডিএমপি বাংলাদেশ পুলিশের মুখচ্ছবি হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

আরএস

Link copied!