ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

আন্দোলনে ৭৭ শতাংশই গুলিতে নিহত: এইচআরএসএস

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪, ১২:০৫ এএম

আন্দোলনে ৭৭ শতাংশই গুলিতে নিহত: এইচআরএসএস

কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন পরবর্তী সময়ে রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই গণঅভ্যুত্থানে কতজন নিহত হয়েছেন সে ব্যাপারে একটি পরিসংখ্যান দিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে ১৬ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৭৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭৭ শতাংশই গুলিতে মারা গেছেন। এছাড়া এই আন্দোলনে আহতের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি।

শুক্রবার সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণ করে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এইচআরএসএস এই তথ্য জানিয়েছে।

১২টি জাতীয় দৈনিক, এইচআরএসএসের তথ্য অনুসন্ধানী ইউনিট ও সারা দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

তাদের মতে, গণমাধ্যম, হাসপাতাল ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে যেসব বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাচ্ছে তারা, তাতে তাদের মনে হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে এক হাজার হবে।

এইচআরএসএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট ৭৭২ জনের মৃত্যুর ধরন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৯৯ জন বা ৭৭ শতাংশ গুলিতে নিহত হয়েছেন। ৬১ জন (৮ শতাংশ) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে। ৮৫ জনকে (১১ শতাংশ) পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অন্যান্য কারণে মারা গেছেন ২৭ জন (৪ শতাংশ)।

কোন বিভাগে কত নিহত হয়েছেন, সেই পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক ঢাকা বিভাগে ৫৪০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৯১ জন, খুলনায় ৮১ জন, রাজশাহীতে ৬৪ জন, ময়মনসিংহে ৩৮ জন, রংপুরে ২৯ জন, সিলেটে ২০ জন এবং বরিশালে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

এইচআরএসএসের প্রতিবেদনে নিহত ব্যক্তিদের একাংশের বয়স, পেশা, মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩২৭ জন এবং ৪ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (অনেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে মারা যান) ৫৪৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ৭৭ শতাংশ গুলিতে মারা গেছেন। ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা বেশি মারা গেছেন। এ হার ৫৩ শতাংশ। আর ৩০ বছরের মধ্যে বয়স ধরলে, নিহতের হার দাঁড়ায় ৭০ শতাংশে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী, এ হার ৫২ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন গুলিতে এবং পুলিশের হামলায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য আদেশ দেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, আনসার, সোয়াট, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলির বেআইনি ব্যবহার, কাঁদানে গ্যাসের শেল, এ কে ঘরানার অ্যাসল্ট রাইফেলের মতো প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সারা দেশে থানা (পাঁচ শতাধিক), সরকারি স্থাপনা এবং সংখ্যালঘুদের স্থাপনায় হামলা–ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

এইচআরএসএস জানায়, নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৭৪৩ জনের নাম জানা গেছে। তাদের মধ্যে শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, সাংবাদিক, পেশাজীবী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, শিশু ও নারীসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থক আছেন। আন্দোলনে কমপক্ষে ১০৭টি শিশু, ৬ জন সাংবাদিক, ৫১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ১৩ জন নারী ও মেয়েশিশু নিহত হয়েছেন।

নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৬১৯ জনের বয়স সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেছে এইচআরএসএস। নিহতদের মধ্যে ৪ বছরের আহাদ ও ৬ বছরের রিয়া গোপসহ প্রায় সব বয়সী মানুষ রয়েছেন। ৬১৯ জনের মধ্যে ১০৭ শিশু (১৮ বছরের কম বয়সী) রয়েছে। এ ছাড়া ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সী বা তরুণ ৩২৭ (৫৩ শতাংশ) জন, ৩১ থেকে ৫০ বছর বয়সী বা মধ্যবয়সী ১৫৮ (২৬ শতাংশ) জন, ৫০ বছরের বেশি বয়সী ২৭ জন (৪ শতাংশ) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ ৬১৯ জনের মধ্যে ৭০ শতাংশেরই বয়স ৩০ বছরের মধ্যে।

পেশাভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩৫২ জনের পেশা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থী ১৮৪ জন (৫২ শতাংশ), শ্রমজীবী ৭০ জন (২০ শতাংশ), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ৫১ জন (৫ শতাংশ)।

ইএইচ

Link copied!