দিনাজপুর প্রতিনিধি
মে ১৯, ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
দিনাজপুর প্রতিনিধি
মে ১৯, ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
দিনাজপুরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)-এর স্বল্পমূল্যে সেচ সুবিধা প্রদান ও কৃষি সহায়ক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ফলে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে এবং কৃষি উৎপাদনেও এসেছে ইতিবাচক সাড়া।
বিএমডিএ সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২ লাখ ৭৮ হাজার ৪১৭ হেক্টর, যার পুরোটাই সেচের আওতায় আনা হয়েছে। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেলার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৭টি পরিবার সেচ সুবিধা গ্রহণ করছে।
এক একর জমিতে সেচ সুবিধা নিতে কৃষকদের খরচ হচ্ছে মাত্র ২৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। কৃষকরা বলছেন, এতো স্বল্পমূল্যে সেচ সুবিধা পেয়ে তারা দারুণভাবে উপকৃত হচ্ছেন।
জেলায় বর্তমানে বিএমডিএর অধীনে রয়েছে ১,৬৬৮টি গভীর নলকূপ এবং নদীতে স্থাপন করা হয়েছে ১৩৭টি লো-লিফট পাম্প। এছাড়া, ১৩৭টি সেচ-নলকূপকে খাবার পানির সরবরাহ স্থাপনায় রূপান্তর করা হয়েছে, যেখান থেকে উপকৃত হচ্ছেন প্রায় ৪৮ হাজার ৩৯১ জন মানুষ। চলতি বোরো মৌসুমে ৭৭ হাজার ৮২৭ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া হয়েছে।
বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ খাস খাল ও খাড়ি পুনঃখনন করেছে ১২৭ কিলোমিটার এবং ৪১টি খাস মজা পুকুর পুনঃখনন করেছে। গ্রামীণ যোগাযোগ সহজ করতে নির্মাণ করেছে ১৪টি সেতু ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য নির্মাণ করেছে ১২টি ক্রস ড্যাম।
পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ করে, তারা রোপণ করেছে ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৬২৫টি বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছ। বজ্রপাত প্রতিরোধ এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলায় ইতোমধ্যে প্রায় ২ লাখ তালগাছ লাগানো হয়েছে।
বিএমডিএ বিরল জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “বোরো ছাড়াও ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলে আমরা কৃষকদের সেচ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছি।”
প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “সেচ সুবিধার পাশাপাশি নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে বিএমডিএ। দিনাজপুরের কৃষকদের কাছে এটি এখন একটি আস্থার নাম।”
তিনি আরও জানান, বিরল উপজেলার ধুকুরঝাড়ি থেকে বিরল উপজেলা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে লাগানো তালগাছ ইতোমধ্যে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। এ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
ইএইচ