আমার সংবাদ ডেস্ক
জুন ১, ২০২৫, ০১:১২ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
জুন ১, ২০২৫, ০১:১২ পিএম
গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে দেশেব্যাপী ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে গিয়ে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্রধান নির্দেশদাতা’ হিসেবে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় একাধিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
এই মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি তাঁর সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাসহ মোট ৫২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগকারীদের দাবি, ওই সময় রাষ্ট্রীয় নির্দেশনায় নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়।
অভিযোগপত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ৩২ জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের নাম, যাঁদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যায় উসকানি’ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁরা টক শো, সংবাদ সম্মেলন ও সামাজিক মাধ্যমে সরকারপন্থী বক্তব্য দিয়ে সহিংসতা বৈধতা দিতে ভূমিকা রেখেছেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপি দলীয়ভাবে ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগপত্র জমা দেয়, যেখানে দাবি করা হয়—জুলাই ও আগস্টে আন্দোলনকালে সারা দেশে ৮৪৮ জন বিএনপি নেতা-কর্মী নিহত হন। অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এতে সংযুক্ত করা হয়েছে নিহতদের তালিকা, অডিও-ভিডিও প্রমাণ ও ৮৪টি মামলার এজাহার।
এদিকে গতবছরের অক্টোবরে ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। আদালত তাঁদের ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাজির হতে নির্দেশ দেয়।
এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২৮টি পৃথক অভিযোগ দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিহতদের স্বজনদের পক্ষে দায়ের করা মামলাও। তদন্ত সংস্থা এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে প্রধান প্রসিকিউটরের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে, যার ভিত্তিতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
বিআরইউ