আমার সংবাদ ডেস্ক
আগস্ট ৮, ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে ইজারাভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১৬টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম গত ৩০ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
নতুন অর্থবছরের শুরু থেকেই বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সূত্র মতে, এসব প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর একাধিকবার ইজারা নবায়নের সুযোগ পেলেও তারা যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং তাদের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক স্বার্থে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং প্রশাসনিক জটিলতা তৈরির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছিল।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ রাজনীতিক বা তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে ছিল। রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা বিমানবন্দরের ভেতরে একটি প্রভাবশালী ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। বর্তমানে তাদের কেউ কেউ দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় কারাবন্দি, আবার কেউ কেউ দেশের বাইরে পলাতক।
তবে এখানেই শেষ নয়। পুরনো চক্রটি এখন নতুন রূপে আবির্ভূত হয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু গণমাধ্যম ব্যবহার করে বেবিচকের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। তারা পূর্ববর্তী রাজনৈতিক বলয় পুনর্গঠন এবং নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষার জন্য নানাভাবে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রচারণায় বেবিচকের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও নীতিনির্ধারকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে তা গণমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে।
বেবিচকের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এখন সময় এসেছে অতীতের রাহুর ছায়া থেকে মুক্ত হয়ে একটি আধুনিক, পেশাদার ও জবাবদিহিমূলক বিমানবন্দর ব্যবস্থা গড়ে তোলার। এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সর্বস্তরের আন্তরিক সহযোগিতা একান্তভাবে প্রয়োজন বলেও তারা মত দেন।
ইএইচ