অবশেষে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ৩০ বছর করারসহ ৮ দফা দাবিতে আগামী ১২ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকাল ৬টা থেকে ঘোষণা করা ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রোববার বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে সরকারের সঙ্গে পরিবহন মালিকদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে উত্থাপিত দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা হয় এবং সমাধানের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করার আশ্বাস দেয় সরকার।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন, সড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহছানুল হক, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলমসহ বিভিন্ন পরিবহন সংগঠনের নেতারা।

এর আগে, গত ২৭ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ ৮ দফা দাবি জানায় এবং দাবির বাস্তবায়ন না হলে ৭২ ঘণ্টার জন্য সব ধরনের বাণিজ্যিক পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৯৮ ও ১০৫ ধারাসহ সুপারিশকৃত ধারাগুলো সংশোধন, বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২০ ও ২৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা, সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ২০ ও ২৫ বছরের পুরোনো গাড়ির বিরুদ্ধে বিআরটিএর অভিযান স্থগিত রাখা, বাজেটে আরোপিত দ্বিগুণ অগ্রিম আয়কর (প্রিজাম্পটিভ ইনকাম ট্যাক্স) কমিয়ে আগের মতো বহাল রাখা, রিকন্ডিশন বাণিজ্যিক যানবাহন আমদানির মেয়াদ ৫ বছর থেকে ১২ বছর করা, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি থানায় আটক হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালিকের জিম্মায় দেওয়ার বিধান প্রণয়ন, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের জন্য স্ক্র্যাপ নীতিমালা প্রণয়ন, মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন ও বিআরটিএ অনুমোদনবিহীন হালকা যানবাহনের জন্য পৃথক লেন ব্যবস্থা, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নবায়ন দ্রুত সরবরাহ, শ্রমিক ফেডারেশনের ১২ দফা দাবি বাস্তবায়ন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম ১১ আগস্টের মধ্যে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান এবং অন্যথায় ১২ আগস্ট থেকে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দেন।

ইএইচ