ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

অনিয়মের অভিযোগে নাকোল রাইচরণ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

মিরাজ আহমেদ, মাগুরা

মিরাজ আহমেদ, মাগুরা

আগস্ট ৩, ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম

অনিয়মের অভিযোগে নাকোল রাইচরণ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাকোল রাইচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বড় ধরনের প্রশাসনিক পরিবর্তন এসেছে। আর্থিক অনিয়মসহ নানা অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আ. মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ।

রোববার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সভায় উপস্থাপিত অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানা গেছে।

অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে— ব্যাংকে জমা না দিয়ে নগদ অর্থ হাতে রেখে ব্যয় করা, শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন, দায়িত্বে অবহেলা, বিদ্যালয় পরিচালনায় ব্যর্থতা।

এর আগে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলেও তার লিখিত জবাব “অসন্তোষজনক” বিবেচিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরিচালনা পর্ষদ জানিয়েছে, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মুনীর হোসেন আগামী ৩ আগস্ট থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একইসঙ্গে শেখ আ. মান্নানকে তিন দিনের মধ্যে সকল প্রশাসনিক নথিপত্র, আয়-ব্যয়ের হিসাব ও দাপ্তরিক দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসেন বলেন, "শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রেখে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হয়েছি।"

তবে প্রধান শিক্ষকের স্থায়ী বরখাস্তের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তাকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পাওয়া গেলে এবং তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ—মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, যশোর শিক্ষা বোর্ড, জেলা প্রশাসন মাগুরা, উপজেলা প্রশাসন শ্রীপুরসহ মোট ১০টি দপ্তরে সিদ্ধান্তের কপি পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ পর্ষদের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানালেও, অন্য অংশের দাবি—ঘটনাটি আরও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি রাখে।

ইএইচ

Link copied!