Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪,

দেশের উন্নয়নে সমালোচকদের গাত্রদাহ

ড. যশোদা জীবন দেবনাথ

ড. যশোদা জীবন দেবনাথ

জুন ২৬, ২০২২, ০১:৫৮ এএম


দেশের উন্নয়নে সমালোচকদের গাত্রদাহ

কিছুদিন আগে বান্দরবান ঘুরতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামে পুরো সময় কাটিয়েছি। পাহাড়ি দুর্গম এলাকায়ও চলমান উন্নতি চোখে পড়লো। আঁকাবাঁকা উঁচুনিচু জনপদেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আগে সেখানে রাস্তাঘাট ছিল না। যা ছিল সেটাও ছিল কাঁচা কর্দমাক্ত। এখন দেখলাম সব কিছুতে পিচ ঢালাই চলছে। ইটের উপরে ঢালাই, গর্তে মাটি ভরে তার উপর ঢালাই, মাটির উপরে ঢালাই। খালি রাস্তা পাকার কাজ চলছে। প্রত্যন্ত এলাকায় এই উন্নতি দেখে আমি অবাক। 

এমনিতেই দেশ উন্নয়নে জ্বল জ্বল করছে। শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। শহর থেকে গ্রামে ডিজিটাল ছোঁয়া লেগেছে। দারিদ্রতা হ্রাস পেয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, পায়রা সমুদ্রবন্দর, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা রেল সংযোগ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, আন্ডারপাস, চারলেন, আটলেন সড়ক হচ্ছে। 

এসব প্রকল্প বাস্তাবায়নের সাথে সাথে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে চলে যাবে। গ্রামে গ্রামে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে গেছে। ঘরে ঘরে কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন। ইন্টারনেট জগতে বাংলাদেশ চতুর্থ জেনারেশনে ফোর-জি থেকে ৫-জিতে ঢুকেছে। এতকিছুর পরেও সমালোচনাকারীদের দেশের উন্নয়ন চোখে পড়ে না। কিছু লোক দেশ ও সরকারের অর্থনৈতিক কোনো ইতিবাচক অর্জন দেখতে পায় না। দেশের সুখবর, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি তাদের গায়ে জ্বালা ধরায়। একটি রাজনৈতিক দল আলোহীন-আশাহীন নেতিবাচক রাজনীতির বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর হতাশায় নিমজ্জিত তাদের নেতারা ঘরে বসে বসে দুর্ভিক্ষের কল্পকাহিনী বানাচ্ছে।

‘জাতির পিতা একটা কথা বলতেন— ‘বাংলাদেশের মাটি এত উর্বর এখানে যেমন ফসলও হয় তেমনি সেখানে অনেক পরগাছা-আগাছাও জন্মে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যাদের গা জ্বলে তারা দেশের জন্য পরগাছা আগাছার মতোই। সরকার উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশকে আধুনিক অবকাঠামো সমৃদ্ধ করে তুলছে। বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে পারমাণবিক বিশ্বে, স্থান করে নিয়েছে মহাকাশে। এগুলো কি উন্নয়নের লক্ষণ নয়? সমালোচনাকারীদের চোখ কি অন্ধ? নাকি উন্নয়নে তাদের গাত্রদাহ হয়? মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগে মাইলফলক, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিলিয়ন ডলার, খাদ্য উৎপাদনে স্বংসম্পূর্ণ, রপ্তানি আয় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উন্নীত, গড় আয়ু বৃদ্ধি। এগুলো কি মিথ্যাচার? দেশের এত উন্নয়ন যারা চোখে দেখে না, তাদের চোখ খারাপ। আসলে তাদের দেখার কোনো ইচ্ছাই নেই। পদ্মা সেতু জাতির মাইলফলক। 

পদ্মা সেতুর কথা শুনলেই একটি দলের নেতাদের ভালো লাগে না। আসলে তারা যেখানে যাচ্ছে, সেখানেই দেখছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন নিয়ে জনগণ উচ্ছ্বসিত। তাই তাদের সহ্য হচ্ছে না। গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের জন্য কী কী করেছে, তা জনগণই মূল্যায়ন করবেন। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহারে যেসব ওয়াদা দিয়েছিল, তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে বা করছে। 

২০১৮ সালে শেখ হাসিনা ‘দিন বদলের সনদ রূপকল্প-২০২১’ উপস্থাপন করেছিলেন। আর জনগণ নিরঙ্কুশভাবে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে। তারপরে গত তিন বছরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে (চতুর্থবারের মতো) শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, দৃঢ়তা, সাহসিকতা, সততা ও কর্মনিষ্ঠা আরও বেশি বিশ্ব নন্দিত। তার নেতৃত্বের সফলতা বিশ্বে অন্যান্য নেতাদের আদর্শে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা ক্ষমতার টানা এই এক যুগে দেশের উন্নয়নে যা করেছেন তা অতুলনীয়। অবশ্য জনবহুল এ দেশের সকল সমস্যার সমাধান করতে এখনো সক্ষম হননি। যদিও অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশকে ছাড়িয়ে সারাবিশ্বে অগ্রগতির অভূতপূর্ব স্মারক বহন করছে বাংলাদেশ।

১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ মানুষকে ঘর-বাড়ি করে দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এই কাজটি করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষের কর্মসূচি কিছু কাটছাঁট করেছেন। কেউ গৃহহীন, ভিটাহীন থাকবে না এটাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য। নদী ভাঙনপ্রবণ এলাকায়ও সরকার এমন ঘর করে দিচ্ছে যেটা ভাঙনের আশঙ্কা দেখা গেলে দ্রুত সরিয়ে নেয়া যায়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এ দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না, অন্ধকারে থাকবে না। আজ বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা তার পিতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার প্রত্যেকের ঘর আলোকিত করার ঘোষণা দিয়েছিল। আজ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে সেটা করতে সক্ষম হয়েছে। প্রত্যেকটি গ্রামে কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। 

কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তরুণ প্রজন্ম আজ মাদক, সাইবার অপরাধ, আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক দিকসহ নানান চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে। প্রযুক্তি যেমনি বদলে দিয়েছে, তেমনি এর ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। একদিকে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হবে। অপরদিকে এর নেতিবাচক দিক থেকে তরুণদের সুরক্ষা করতে হবে। এসব বাস্তবতায় শেখ হাসিনা সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণ-তরুণীদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে এবং ক্যারিয়ার গড়তে প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। সরকার বিনা পয়সায় করোনার পরীক্ষা ও ভ্যাকসিন দিয়েছে। অনেক উন্নত দেশও এটা পারেনি। বাজেটে আলাদা করে হাজার হাজার কোটি টাকা রেখে দিয়েছে। সরকার চেয়েছে যত টাকা লাগুক, যেখান থেকেই হোক ভ্যাকসিন আনব। দেশের মানুষকে দেব। সেটা দিতে সক্ষম হয়েছে। ৭৩ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়ে গেছে। 

অতীতের সরকারগুলোর আমলে আমাদের গ্রামগুলো বরাবরই উন্নয়ন ভাবনার বাইরে ছিল। আওয়ামী লীগই প্রথম গ্রামোন্নয়নকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করে। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সমপ্রসারণের অঙ্গীকার করে। আজ দেশের প্রায় সকল গ্রামে পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। 

২০০৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পল্লী এলাকায় ৬৬ হাজার ৭৫৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, তিন লাখ ৯৪ হাজার ব্রিজ-কালভার্ট, এক হাজার ৭৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, এক হাজার ২৫টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ৩২৬টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ও সমপ্রসারণ করা হয়েছে।’ 

২০০৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৪৫৮ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চতুর্থ বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে। আরও ৮৮৭ কিলোমিটার মহাসড়ক চার এবং তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। ঢাকায় বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ৪৬.৭৩ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ ২০২৩ সাল নাগাদ শেষ হবে। 

বাংলাদেশ রেলওয়েকে যুগপোযোগী এবং আধুনিক গণপরিবহন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমানে ১৩ হাজার ৩৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৭টি প্রকল্পের কাজ চলছে। ঢাকার চারদিকে সার্কুলার রেললাইন স্থাপনের সমীক্ষার কাজ চলছে। ২০০৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৪৫১ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ এবং এক হাজার ১৮১ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসন করা হয়েছে। ৪২৮টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ করা হয়েছে। যমুনা নদীর উপর ৪.৮ কিলোমটির দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের বিমানবহরে ১২টি নতুন অত্যাধুনিক বোয়িং এবং ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ সংযোজিত হয়েছে। সংযোজিত হয়েছে তিনটি ড্যাশ-৮-৪০০ উড়োজাহাজ।

 সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সারা দেশে সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে গ্রামীণ নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেয়া হয়। স্বাস্থ্যসেবার সমপ্রসারণ এবং গুণগত মানোন্নয়নের ফলে মানুষের গড় আয়ু ২০১৯-২০ বছরে ৭২.৮ বছরে উন্নীত হয়েছে। পাঁচ বছর বয়সি শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৮ ও অনূর্ধ্ব এক বছর বয়সি শিশু মৃত্যুর হার ১৫-তে হ্রাস পেয়েছে। মাতৃমৃত্যু হার কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি লাখে ১৬৫ জনে।’

করোনার ধাক্কা ও যুদ্ধাবস্থা সবকিছু মিলে খাদ্যভাবটা সারাবিশ্বে দেখা দিতে পারে। সে জন্য সরকার সতর্ক রয়েছে এ জন্য প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছে দেশে কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমি অনাবািদ না থাকে। যার যেটুকু আছে সেটুকু করবে। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা ২০২১ সালেই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। যারা উন্নয়নকে অস্বীকার কারে তারা অধম। উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে অস্বীকার করাও এক ধরনের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের শামিল।

বঙ্গবন্ধু যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন দেশ ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত, পোড়ামাটির ভূখণ্ড। সেখান থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছর তিনি দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছেন। ওই সময়ের মধ্যে তিনি সংবিধান প্রণয়ন করেন। প্রশাসন পুনর্বিন্যাস এবং সব বাহিনী গঠন করেন। একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় যতগুলো অঙ্গ থাকা দরকার সবই তিনি করে দিয়েছিলেন। সদ্য স্বাধীন দেশকে প্রায় ৭০টির মতো দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল। তবে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ঘাতকদের হাতে তাকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। 

এরপর সব মিলিয়ে ৫০ বছরের মধ্যে ২৯ বছর বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যরা ক্ষমতায় ছিল। যাদের পথচলা ছিল স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। বঙ্গবন্ধু যেখানে দেশকে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে এই ২৯ বছর রাষ্ট্র উল্টো ধারায় চলেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন মুছে দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধ্বংস করে পাকিস্তানি ভাবধারায় রাষ্ট্র পরিচালনার চেষ্টা করা হয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশ কিন্তু খুব বেশি এগোতে পারেনি। তবে অনেক চড়াই উৎরাইয়ের পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষমতায় আসেন। ২০০১ সালে আবার সেই বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে। 

এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। টানা ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগ মূলত ২১ বছর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পেয়েছে। এই সময়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের মধ্য দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করা হয়। এটা করেছিলেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, প্রতিটি জনপদে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে, বিএনপি নেতারা তা দেখতে না পেলেও জনগণ ঠিকই দেখতে পাচ্ছে।

লেখক : সদস্য, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটি, আওয়ামী লীগ
 

Link copied!