Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ১২ মে, ২০২৫,

রাশেদ খাঁন

জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ১২, ২০২৫, ০১:২১ পিএম


জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ

গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সাম্প্রতিক কর্মসূচিগুলিতে জামায়াত-শিবিরের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে যমুনা ও শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচিতে তাদের (জামায়াত-শিবির) নেতাকর্মীরা সর্বশক্তি দিয়ে উপস্থিত ছিলেন। তবে কাজে লাগানোর পর তাদেরকে পাকিস্তানপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করার অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।

সোমবার সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ খাঁন লিখেছেন, "আ.লীগ নিষিদ্ধের কর্মসূচিতে যমুনা বা শাহবাগ ঘেরাওয়ে সর্বশক্তি নিয়ে উপস্থিত ছিল জামায়াত-শিবির। জাশি ও এনসিপির নেতাদের একসঙ্গে বসে ও দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। অন্যান্য ইসলামিক দলেরও ভালো সমর্থন ছিল। আমার ধারণা, যমুনা ও শাহবাগে ঘেরাওয়ে ৬০ শতাংশ বিভিন্ন ইসলামিক দলের নেতাকর্মী ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল। আরও বেশিও হতে পারে। মূলত তারা উপস্থিত না হলে আন্দোলনটা জমতো না।"

তিনি লিখেছেন, "তবে আন্দোলন আংশিক সফল হওয়ার পরে কেন যেন এনসিপির নেতারা জামায়াত-শিবিরের তকমা থেকে বের হতে চাচ্ছেন। কিন্তু সরাসরি এনসিপির কমিটিতেই শিবিরের বেশকিছু নেতা আছে। যারা বিরুদ্ধে বলছেন, তাদের কেউ কেউ শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। যাই হোক, এখন রাজনীতি করতে গেলে তাদের প্রগতিশীল হয়ে উঠতেই হবে!"

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও লিখেছেন, "কিছু মহল থেকে অভিযোগ এসেছে, শাহবাগের প্রতিশোধ নিয়েছে জামায়াত-শিবির! আমি সেভাবে বলতে চাই না, কারণ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জোরালো দাবি জনগণের পক্ষ থেকে আছে। তাদের প্রশ্ন, যমুনার আন্দোলন কেন শাহবাগে গেলো?!"

সবশেষে তিনি লিখেছেন, "জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ, এখন তাদেরকে পাকিস্তানপন্থী বলে চালিয়ে দাও... এবারের ঘটনা থেকে জাশির যদি ন্যূনতম শিক্ষা হয়, তবে ডাক দিলেই আর আগের মতো দৌঁড় দেবে না। আর যদি তারা মনে করে, চড় মেরে ক্ষমা চাইলেও সব ক্ষমা করে দেওয়া যায়, তবে আবার ডাক আসলে, তারা আবার জনশক্তি নিয়ে হাজির হয়ে যাবে! আর যদি তাদের রাজনীতির উদ্দেশ্যই হয়, অন্যের আহ্বানে জনশক্তি সরবরাহ করা, তবে এক্ষেত্রে আমার কোনো মন্তব্য নেই।"

ইএইচ

Link copied!