মতৈক্য কমিশন মতানৈক্য কমিশনে পরিণত হচ্ছে

অতি সংস্কারের নামে অপ্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে মন্তব্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, “ইতোমধ্যে দশটি মাস পেরিয়ে গেছে, কিন্তু মানুষের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার বাস্তবায়িত হচ্ছে না। সংস্কার নিয়ে আলোচনা অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। মতৈক্য কমিশন এখন মতানৈক্য কমিশনে পরিণত হয়ে যাচ্ছে।”

শনিবার বিকেলে ফরিদপুরের অম্বিকা হলে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করছি, মতৈক্য কমিশনের বৈঠকগুলোতে হৈচৈ হচ্ছে, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, এমনকি বয়কটও করা হচ্ছে। কমিশন তাদের নির্ধারিত এজেন্ডার বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত কিছু বিষয় গ্রহণ করেছে, যা তাদের দায়িত্ব নয়।”

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “দেশে ইতোমধ্যে একটি পরিবর্তন হয়েছে, গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে। মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছে। এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ আর কত রক্ত দিবে? আর কতজন পঙ্গুত্ব বরণ করবে? মুষ্টিমেয় কিছু দুর্বৃত্ত ও লোভী মানুষের কারণে এই সুযোগ বারবার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, “বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের হাজার হাজার তরুণ রয়েছে যারা কোনো দলমত করে না। এদের বিএনপিতে অন্তর্ভুক্ত করা গেলে প্রান্তিক থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।”

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক ও সেলিমুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সরদার একেএম নাসিরউদ্দিন কালু, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বাবু প্রমুখ।

সভাটি সঞ্চালনা করেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন।

অনুষ্ঠানে বৃহত্তর ফরিদপুরের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ইএইচ