ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
ভারত ভাগের ৭৫ বছর

ক্রিকেটে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর জন্ম দিয়েছে দেশভাগ

ডয়চে ভেলে বাংলা

আগস্ট ১৪, ২০২২, ০৩:২৪ পিএম

ক্রিকেটে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর জন্ম দিয়েছে দেশভাগ

আজ থেকে ৭৫ বছর আগে ভয়াবহ সহিংসতার মধ্য দিয়ে ভারত ভাগ হয়েছিল৷ সেই সহিংসতার তীব্রতা ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটেও বিদ্যমান৷ 

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশদের অধীনে থাকা ভারত দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছিল৷ তৈরি হয়েছিল হিন্দু অধ্যুষিত ভারত এবং মুসলিম অধ্যুষিত পাকিস্তান৷

বিশ্বের যে-কোনো খেলার চেয়ে ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ সবচেয়ে বেশি দেখা হয়৷ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে যারা জেতে তারা মনে করে জাতীয়তাবাদের প্রতিনিধিত্ব করছে ৷

দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা এতটাই বেশি যে দেশভাগের তারিখটাও একদিনে পালন করা হয় না৷ অর্থাৎ দুই দেশে স্বাধীনতা দিবস দুটো ভিন্ন তারিখে৷ পাকিস্তান পালন করে ১৪ই আগস্ট আর ভারত ১৫ই আগস্ট ৷ 

পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার ওয়াসিম আকরাম সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, ‘‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে লাখো মানুষের আবেগ জড়িয়ে থাকে৷ আপনি ভালো খেললে নায়ক আর তারপরও দল হেরে গেলে আপনি খলনায়কে পরিণত হবেন৷‍‍`‍‍`

তবে কেবল ক্রিকেট দ্বৈরথ নয়, সামরিক উত্তেজনাও রয়েছে দু‍‍`দেশের মধ্যে৷ দেশভাগের পর এ পর্যন্ত চারটি যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছে তারা ৷  

১৯৮৭ সালে যখন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে, দুই দেশের সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থায়, সে সময় কোনো পূর্বনির্ধারিত সূচি ছাড়াই পাকিস্তানের সামরিক শাসক মুহাম্মদ জিয়াউল হক ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে পৌঁছে যান দিল্লিতে ৷ এর ফলে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী তার সঙ্গে বৈঠকে বসেন এবং আলোচনার মাধ্যমে সেই উত্তেজনা নিরসন হয়৷ 

তবে ক্রিকেট নিয়ে এখনো দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে স্বাভাবিক হয়নি৷ ২০০৭ সালের পর এখন পর্যন্ত একটাও টেস্ট ম্যাচ হয়নি তাদের মধ্যে৷ বিদেশের মাটিতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় হয়ত মুখোমুখি হয়েছে দুই দল৷ কিন্তু কেবল দুই দেশের মধ্যে হয়নি কোনো সিরিজ ৷

এ মাসের শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপে খেলবে দুই দেশ৷ সেসময়ের অপেক্ষায় আছেন বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তরা৷ এই খেলা প্রচারের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করতে রাজি চ্যানেলগুলো ৷

২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানম্যাচ দেখেছিল ২৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষ৷ গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দু‍‍`দেশের দ্বৈরথ দেখেছে ১৬ কোটি ৭০ লাখ ৷

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্কাই স্পোর্টসের তথ্যচিত্রে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজের কোনো বিকল্প নেই৷ কারণ এই দুই দেশের খেলায় যে উত্তেজনা, চাপ এবং আনন্দ তা অন্যরকম ৷‍‍`‍‍`

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ফয়সাল হাসনাইন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট খেলাকে ‘‘সব ম্যাচের সেরা ম্যাচ বলেছেন৷‍‍`‍‍` তিনি জানান, ভক্তরা এই দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত ম্যাচ হোক সেটাই চায়৷ কিন্তু দুদেশের মধ্যে বরফ না গললে সেটা সম্ভব না৷ আমরা কেবল অপেক্ষা করতে পারি এবং আশা করতে পারি এমনটা যেন হয় ৷‍‍`‍‍`

১৮ শতকে ব্রিটিশ উপনিবেশ থাকাকালে উপমহাদেশে প্রথম ক্রিকেটের সূচনা হয়৷ সেসময় কেবল ব্রিটিশদের এটি খেলার অধিকার ছিল৷ কিন্তু স্থানীয়দের নিয়ে যখন নেট প্র্যাকটিস করা হত, সেখান থেকে এই খেলা শেখেন তারা ৷

১৯৩২ সালে ভারত টেস্ট স্ট্যাটাস পায়৷ কিন্তু ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জাতীয় দলের তিনজন মুসলিম খেলোয়াড়সহ আরো অনেক ক্রিকেটার পাকিস্তান চলে যান ৷

১৯৫২ সালে পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট ম্যাচ ছিল ভারতের বিরুদ্ধে৷ সেখানে পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেয়া আব্দুল হাফিজ কার্দার দেশভাগের আগে ছিলেন ভারতের জাতীয় দলের খেলোয়াড় ৷

এরপর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ৫৯টি টেস্ট ম্যাচ হয়েছে৷ ১২টিতে পাকিস্তান জিতেছে, ভারত জিতেছে ৯টিতে৷ বাকিগুলো ড্র হয়েছে৷ ওয়ানডেতেও পাকিস্তান এগিয়ে৷ তবে টি-টোয়েন্টিতে ৯টি ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে ৭টিতে৷

প্রমিলা ক্রিকেটে ২০০৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ওয়ানডেতে ১১টি ম্যাচেই ভারতের কাছে হেরেছে পাকিস্তানের মেয়েরা৷ আর টি-টোয়েন্টিতে ১২টির মধ্যে ১০টিতে জিতেছে ভারতের মেয়েরা৷

দুইদেশের একদিনের ম্যাচগুলো যে কতটা উত্তেজনাপূর্ণ তা এক ধারাভাষ্যকারের একটি কথাতেই বোঝা যায় ‘ওয়ার মাইনাস শ্যুটিং‍‍`৷ অর্থাৎ ‘গুলিবিহীন যুদ্ধ‍‍` মানে যে যুদ্ধে কেবল গোলাগুলি হয়নি, বাকি সবধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে৷

১৯৯১ সালে আকিব জাভেদের হ্যাট্রিকসহ সাত উইকেট শিকার পাকিস্তানকে শারজাহতে উইলস ট্রফি জিততে সাহায্য করেছিল৷ ওই ম্যাচকে ঘিরে ভারতীয় ভক্তদের ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে৷ যার জের টানতে হয়েছিল মাসের পার মাস৷

তবে পাকিস্তানের ভক্তরাও কম যান না৷ একবার চোটের কারণে ওয়াসিম আকরামকে একটি ম্যাচ থেকে উঠিয়ে নেয়া হলে তাকে মৃত্যুর হুমকি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের ভক্তরা৷

ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান সঞ্জয় মাঞ্জরেকর এএফপিকে জানিয়েছেন, তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে খেলাকে ভীষণ মিস করেন৷ তিনি জানান, ‘‘পাকিস্তান তার সবচেয়ে প্রিয় প্রতিপক্ষ৷ এছাড়া তারা ভালো খেলোয়াড়, তাই তাদের সাথে খেলেও আনন্দ ৷‍‍

 

আমারসংবাদ/টিএইচ

Link copied!