Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

সাবেক ফুটবলার মহসিনের পাশে পাপন-সালাউদ্দিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জুন ৬, ২০২৩, ০৮:৩২ পিএম


সাবেক ফুটবলার মহসিনের পাশে পাপন-সালাউদ্দিন

এক সময়ের সেরা গোলকিপার; নিয়মিত বাংলাদেশ জাতীয় দলের গোলবার পাহাড়া দিতেন মহসিন। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের নিয়মিত গোলরক্ষক ছিলেন। ছোটখাটো গড়নের হলেও গোলবার সামলাতে দারুণ পারদর্শী ছিলেন তিনি। মেধা আর প্রতিভা দিয়ে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কও হয়েছিলেন মহসিন। ক্যারিয়ারের সেরা সময়েই হঠাৎ করে খেলা ছেড়ে চলে যান কানাডা। সেখানেই বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। তবে খুব বেশিদিন টেকেনি সেই সংসার। বিবাহ বিচ্ছেদের পর একাই থেকেছেন। কানাডায় ব্যবসা করলেও ধরে রাখতে পারেননি। 

সব হারিয়ে ২০১৪ সালে দেশে ফিরে ছোট ভাইয়ের কাছে ওঠেন। প্রায় সাত বছর পর জানাজানি হয় কিংবদন্তিতুল্য গোলরক্ষক মহসিন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ঢাকায়, যে খবর নাড়া দিয়েছে দেশের আপামর ফুটবল সমর্থকদের। তাতে সাড়া দিয়ে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারাও পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। দেশের ফুটবলের স্বর্ণ সময়ের তারকা গোলরক্ষক মহসিনের দুর্দশা নিয়ে সম্প্রতি খবর প্রকাশ হয় কিছু গণমাধ্যমে। এক সময় কানাডা প্রবাসী এই ফুটবলার দেশে ফিরে নানান কারণে পতিত হন সংকটে। ব্যক্তিগত কারণে ক্রমশ অন্ধকারে ডুবতে থাকেন তিনি। 

তার চিকিৎসায় সহায়তা করার পাশাপাশি জমিজমা সংক্রান্ত ব্যাপারে আইনি সহায়তা দিতে চায় বিসিবি। বর্তমানে স্মৃতিভ্রষ্টটায় আক্রান্ত এই ফুটবলারের অবস্থা জানার পর বিষয়টি নাড়া দিয়েছে বিবিসি কর্তাদের।
মঙ্গলবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী মিরপুরে গণমাধ্যমে মহসিনের পাশে থাকার খবর দেন। তিনি বলেন, আপনারা জানেন যেকোনো খেলার অ্যাথলেট সংকটে পড়লে বিসিবি এগিয়ে আসে। মহসিন ভাইয়ের ব্যাপারটাও এরকমই। তার ব্যাপারটা আমাদের সভাপতির নজরে এসেছে। এজন্য তিনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। উনাকে সার্বিক সহযোগিতার ব্যাপারে। 

মহসিন ভাই জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড় ছিলেন। উনার সময়ে যথেষ্ট ভক্ত ছিল। আমরা সাদা কালো টিভিতে খেলা দেখতাম। উনার পাশে থাকতে পারলে আমরা খুশি হবো। মহসিনের পরিবারের সঙ্গে আলাপ হওয়ার কথা জানিয়ে নিজামউদ্দিন জানান, আর্থিক নয় মূলত জমিজমা উদ্ধার নিয়ে আইনি সহায়তা বেশি চায় তার পরিবার। উনার পরিবার থেকে আর্থিক সাহায্যের কথা বলা হয়নি। বলা হয়েছে উনার শারীরিক অবস্থা। আমরা বলেছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উনাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে শারীরিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা। উনার জায়গা জমি সংক্রান্ত যে আইনি ব্যাপারগুলো আছে সেগুলোর ব্যাপারে আমরা ইতোমধ্যে আমাদের লিগ্যাল এডভাইজারকে বলেছি কাগজপত্র গুলো দেখে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়া। কয়েক বছর আগে কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর মহসিন বর্তমানে মৌচাকে নিজের ফ্লাটে বসবাস করছেন। 

তবে মানসিকভাবে তিনি সুস্থ নন। ভারসাম্য হারানো এই তারকার সংকট নিয়ে সপ্তাহ খানেক আগে বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তার পরিবার। এদিকে মঙ্গলবার বাফুফে সভাপতি মহসিনের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করছেন। পাশাপাশি প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে মহসিনকে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার ঘোঘণা দিয়েছেন তিনি। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ব্যক্তিগতভাবে মহসিনকে আমি সহায়তা করছি। মহসিনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। প্রত্যাশা করছি দ্রুতই সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। আর্থিক সীমাবদ্ধতা ও ফিফা, এএফসির নির্দেশনা থাকায় বাফুফের পক্ষ থেকে মহসিনকে সাহায্য করা সম্ভবপর নয়।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ইতোমধ্যে মহসিনের ব্যাপারে বিসিবি সিইওকে নির্দেশনা দিয়েছেন সুদূর লন্ডন থেকে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ব্যক্তিগত ভাবে এগিয়ে এসেছেন। আব্দুল গাফফারের নেতৃত্বে সাবেক ফুটবলাররাও মহসিনের সাহায্যের জন্য কাজ করবেন।
 

Link copied!