স্পোর্টস ডেস্ক
জুলাই ২, ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম
সাত বছর আগেই এই ইয়াঙ্গুনের মাঠে অলিম্পিক বাছাইয়ে বাংলাদেশ নারী দলের জালে গুনে গুনে ৫ গোল দিয়েছিল মিয়ানমার। শক্তি, ফিফা র্যাংকিং আর অতীত পারফরম্যান্স—সব দিক থেকেই ছিল তারা ফেভারিট। সেই মিয়ানমারকেই আজ তাদের মাটিতে ২-১ গোলে হারিয়ে এশিয়ার সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
ম্যাচের নায়িকা পাহাড়ের মেয়ে ঋতুপর্ণা চাকমা। দুর্দান্ত ফ্রি কিক ও কোনাকুনি শটে জোড়া গোল করে মিয়ানমারের জালে বল জড়িয়েছেন দু’বারই। ৭১ মিনিটে তার দ্বিতীয় গোলটা ছিল চোখ ধাঁধানো। বাঁ দিক থেকে ঢুকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বল ঠাঁই পায় পোস্টের কোণায়। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে মিয়ানমার একটি গোল শোধ করলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
এই জয়ে ‘সি’ গ্রুপে শীর্ষে উঠেছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে বাহরাইনকে বড় ব্যবধানে হারানো দলটি এবার দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে গেল চূড়ান্ত পর্বের দিকে। আগামী ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে হারালেই প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলবে বাংলাদেশ।
আজকের ম্যাচটি ছিল অনেকাংশেই ফাইনালমুখী। কেননা, ‘সি’ গ্রুপ থেকে চূড়ান্ত পর্বে যাবে শুধুমাত্র একটি দল। মিয়ানমার ছিল স্বাগতিক, র্যাংকিংয়ে এগিয়ে এবং অতীতে বাংলাদেশকে দাপটের সঙ্গেই হারিয়েছে। কিন্তু পিটার বাটলারের শিষ্যরা কোনো কিছুই পাত্তা দেয়নি।
১৮ মিনিটে প্রথম গোলটি আসে তহুরার লড়াকু চেষ্টায় ফাউলের সুবাদে ফ্রি কিক থেকে। ঋতুপর্ণা প্রথম শট মারলে তা প্রতিহত হয় মানব প্রাচীরে। কিন্তু ফিরতি বলে দারুণ শটে জালে বল পাঠান এই তরুণ মিডফিল্ডার।
২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর একাধিক সুযোগ পেলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে রক্ষণভাগ ছিল চমৎকারভাবে সংগঠিত। শেষ মুহূর্তে মিয়ানমার গোল করলেও সমতায় ফিরতে পারেনি।
আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এএফসি নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে হলে পরবর্তী ম্যাচে জয় দরকার বাংলাদেশের। আর সেই পথটা এখন অনেকটাই উন্মুক্ত।
আগের দুই বাছাই পর্বে সব ম্যাচ হারা দল এবার একেবারে ভিন্ন এক রূপে হাজির। ঋতুপর্ণা, আফঈদা, তহুরারা প্রমাণ করে দিয়েছেন—স্বপ্ন শুধু দেখা নয়, তা বাস্তবে রূপ দিতে জানে লাল-সবুজের মেয়েরা।
বিআরইউ