Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০১ মে, ২০২৪,

সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ

আবদুর রহিম

জানুয়ারি ২, ২০২৩, ১২:৫৭ পিএম


সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ
  • আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য ছাত্রদলকে প্রস্তুত থাকতে হবে: ড. মোশাররফ
  • খন্দকার মাহবুবের জানাজা সম্পন্ন, নেতারা বললেন শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়

রাজধানীর নয়াপল্টনে এক পাশের সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সমাবেশ ছাত্র সংগঠনটির। গতকাল রোববার বেলা আড়াইটা থেকে এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর একটা থেকে ছাত্র সংগঠনটির নেতাকর্মীরা পল্টন এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। 

দুপুর ২টার পর ফকিরাপুল এলাকা থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত নেতাকর্মীরা সড়কে বসে পড়েন। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতির কারণে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় তিন  ঘণ্টা ওই সড়কে দুপুরের পর গাড়ি চলেনি। 

সকালে দলটির শীর্ষ এক নেতার জানাজার কারণে নয়াপল্টন এলাকায় কিছু সময় গাড়ি চলতে পারেনি। মঞ্চ থেকে দেড়টার পর  বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা গরম বক্তব্য দিতে থাকেন। সরকার পতনের ঘোষণা দেয়া। কোনোভাবেই ক্ষমতাসীনদের অধীনে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলেও হুঙ্কার দেয়া হয়। 

বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, জানুয়ারি থেকে বিএনপির আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে, ধাপে ধাপে আরও কর্মসূচি আসবে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। পুলিশকে দেখা গেছে অ্যাকশন দৃশ্যে। জলকামানসহ সাজসাজ অবস্থায় ছিল তারা। 

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম  শ্রাবণের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদেও সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী দিনে ছাত্রদলকে আরও শক্তিশালী হয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ছাত্র-জনতা ও যুবসমাজের ঐক্যবদ্ধভাবে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। ছাত্রদলকে তাদের ঐতিহ্য রক্ষা করার জন্য আগামী দিনে আরও শক্তিশালী হয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে— আমি এই প্রত্যাশা করব।

খন্দকার মাহবুবের শূন্যতা পূরণ হবার নয় : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুতে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হবার নয় বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আইনজীবীরা তাদের অভিভাবক হারাল। আমরা একজন জাতীয়তাবাদী আদর্শের নেতাকে হারালাম।

আমরা তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খন্দকার মাহবুবের জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে আমরা অত্যন্ত শোকাহত। আমরা আমাদের একজন প্রিয় নেতা এবং ভাইস চেয়ারম্যান হারালাম। যিনি দল ও দেশের জন্য জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে এবং বিচারালয়ে তিনি উচ্চতর আদালতে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সংগ্রাম করেছেন। 

এ সময় মরহুমের ছেলে খন্দকার শামীম হোসেন সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাবার মাগফিরাতের জন্য সবার কাছে দোয়া চান। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মরহুমের কফিনে দলীয় পতাকা দিয়ে আচ্ছাদন করে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে অন্যান্য নেতারা। তারা মরহুম খন্দকার মাহবুব হোসেনের প্রতি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুর রহমান, কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, কেন্দ্রীয় চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

গুলিতে আহত শরীফের বাসায় বিএনপি নেতারা : নয়াপল্টনে পুলিশের গুলিতে আহত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ হোসেনের শারীরিক খোঁজ-খবর নিয়েছেন বিএনপি নেতারা। গতকাল দুপুরে পুরানা পল্টন এলাকার শরীফের বাসায় গিয়ে তার খোঁজ-খবর নেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত (ভারপ্রাপ্ত) ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান। ওই সময় নেতারা শরীফ হোসেনের বাসায় গিয়ে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। সেই সঙ্গে গুলিতে চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গভীর সমবেদনা জানান। 

উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন গুলিতে আহত হন শরীফ হোসেন

Link copied!